রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

বিসিএস, ব্যাংকের এডি ও সহকারী জজ—স্বপ্নের তিন চাকরিই পেয়েছেন বাছিত

স্বপ্নের তিনটি চাকরিই পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পাস করা আবদুল বাছিত মোল্লা। এ ছাড়া বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে আইন কর্মকর্তা হিসেবেও চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।

by ঢাকাবার্তা ডেস্ক
বিসিএস, ব্যাংকের এডি ও সহকারী জজ—স্বপ্নের তিন চাকরিই পেয়েছেন বাছিত

স্টাফ রিপোর্টার।।

বিসিএস প্রশাসন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) সহকারী জজ পদের চাকরি সবার কাছেই আকর্ষণীয়। স্বপ্নের তিনটি চাকরিই পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পাস করা আবদুল বাছিত মোল্লা। এ ছাড়া বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে আইন কর্মকর্তা হিসেবেও চাকরি পেয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে প্রশাসন ক্যাডারে পঞ্চম হয়েছেন আবদুল বাছিত মোল্লা। সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় নবম স্থান অর্জন করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক (সাধারণ) পদে চাকরির পরীক্ষায় ১৬তম হন। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে আইন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিরত থাকা অবস্থায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি পদের চাকরির ফল প্রকাশিত হয়। আইন কর্মকর্তার চাকরি ছেড়ে তিনি এডি পদে যোগ দিয়েছিলেন।

এরপর ১৪তম বিজেএসে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এডির চাকরি ছেড়ে সেখানে যোগ দেন ২০২৩ সালের মার্চে। ঢাকাবার্তা।

এরপর ১৪তম বিজেএসে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এডির চাকরি ছেড়ে সেখানে যোগ দেন ২০২৩ সালের মার্চে। ঢাকাবার্তা।

এরপর ১৪তম বিজেএসে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এডির চাকরি ছেড়ে সেখানে যোগ দেন ২০২৩ সালের মার্চে। বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ভোলায় সহকারী জজ হিসেবে কর্মরত। আবদুল বাছিত মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইনের ছাত্র হিসেবে লক্ষ্য ছিল বিচারক হওয়া। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে স্নাতক শেষে ১৩তম বিজেএসে আবেদন করি। তখন ৪১তম বিসিএস আর বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি (সাধারণ) এই দুই চাকরিরও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সদ্য স্নাতক শেষ হওয়া ছাত্র হিসেবে শখের বশে বাংলাদেশ ব্যাংক আর বিসিএসে আবেদন করি। ১৩তম বিজেএসের চূড়ান্ত ফলাফল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়। আমি মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়ি। মন ভেঙে যায়। কিন্তু তখনো বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়নি।’

সহকারী জজ পদে প্রথমবার মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন তিনি। আবদুল বাছিত মোল্লা বলেন, ‘বিসিএসকেন্দ্রিক পড়াশোনা করলে সব চাকরির প্রস্তুতি হয়ে যায়। কিন্তু জুডিসিয়ারি নিয়ে থাকলে শুধু জুডিসিয়ারিতে চাকরির প্রস্তুতি হয়। সেখানে আবার ভাইভায় বাদ পড়লে বিপদে পড়তে হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা দিই। এর পর থেকে বিসিএসের জন্য পড়াশোনা শুরু করি। জুডিসিয়ারির পড়াশোনাও করতাম, তবে খুব বেশি না। ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি দিয়ে দেখলাম ব্যাংকের নিয়োগ বেশ দ্রুত হয়। তখন বিসিএসের পাশাপাশি আমার লক্ষ্য ছিল একটা নবম গ্রেডের সরকারি চাকরি পাওয়া। তাই ব্যাংকের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য অনেক বিশ্লেষণ করে শুধু দুইটা বই কিনি, যাতে পড়ে শেষ করতে পারি। এভাবেই সব ধরনের চাকরির পরীক্ষার জন্য আমার প্রস্তুতি হয়ে যায়। যদি ১৩তম বিজেএসে সহকারী জজ হতাম, তাহলে অন্য কোনো চাকরির কথা চিন্তাই করতাম না। ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কারণে বিসিএস, ব্যাংক ও সহকারী জজ—এই তিন চাকরিই পেয়েছি।’

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net