বুশরা বিবির আগাম জামিন

ঢাকাবার্তা ডেস্ক ।। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে মঙ্গলবার একটি দায়বদ্ধতা আদালত ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড দুর্নীতি মামলায় আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে।

গত ডিসেম্বর, জাতীয় দায়বদ্ধতা ব্যুরো (NAB) আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রকল্প ট্রাস্টের সাথে সম্পর্কিত একটি দুর্নীতি মামলায় খান এবং তার স্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল যে খান এবং বুশরা বিবি বেহরিয়া টাউন লিমিটেড থেকে বিলিয়ন টাকা এবং শত শত কানালের জমি পেয়েছিলেন, যা পূর্ববর্তী পিটিআই সরকারের সময় যুক্তরাজ্য থেকে সনাক্ত এবং দেশে ফেরত আনা হয়েছিল।

NAB দায়ের করা অভিযোগে আরও বলা হয়েছিল যে খান, যিনি বর্তমানে জেলে আছেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত তহবিলকে বেআইনিভাবে বেহরিয়া টাউন, করাচির জমির মূল্য পরিশোধের জন্য নির্ধারিত একটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

মামলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডি দায়বদ্ধতা আদালত খান এবং তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে, এবং পরের দিন ইসলামাবাদ হাই কোর্ট (IHC) তাদের জামিনের আবেদন মামলায় NAB এর নোটিশ জারি করেছিল।

১৩ মার্চ পর্যন্ত, খান, বুশরা বিবি, সম্পত্তি ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ, তার পুত্র আহমেদ আলি রিয়াজ, সাবেক দায়বদ্ধতা প্রধান মির্জা শাহজাদ আকবর, ফারহাত শাহজাদি (ফারাহ খান নামে পরিচিত), এবং জুলফি বুখারি এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার স্ত্রী ছাড়া বাকিদের ঘোষিত অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই মামলায় ইমরানের জামিন আবেদন IHC গত মে মাসে মঞ্জুর করে, সেটি ১ মিলিয়ন রুপিতে স্থির করা হয়।

মঙ্গলবার দায়বদ্ধতা আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আলি ওয়ার্রাইচ মামলার শুনানি পরিচালনা করেন, যেখানে বুশরা বিবির পক্ষে আইনজীবী সালমান সাফদার, জহির আব্বাস চৌধুরী এবং উসমান রিয়াজ ঘুল আদালতে উপস্থিত হন। এদিকে, NAB এর পক্ষে প্রসিকিউটর জেনারেল সরদার মাযহার আব্বাসি, আমজাদ পারভেজ, ইরফান ভোলা এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানির সময়, বুশরা বিবির আইনজীবীরা মামলায় তার জামিনের আবেদন জমা দেন।

বিচারক উভয় পক্ষের যুক্তি শেষ হওয়ার পর মামলাটির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন এবং পরবর্তীতে একটি বিরতির পর আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবারের জন্য মুলতবি করা হয়।

শুনানির সময়, NAB এর তিন অতিরিক্ত সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “অভিযুক্তদের […] একাধিকবার ন্যায্যতা প্রমাণ করতে এবং তথ্য সরবরাহ করতে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা কুৎসিত অভিপ্রায়ে বারবার অজুহাত দেখিয়ে তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম এবং এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলগুলি প্রমাণ করেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একে অপরের সাথে মিলে দুর্নীতি ও দুর্নীতির কাজ করেছে।