নেইমার, ভিনিসিউস জুনিয়র ও রিশার্লিসনে সাজানো আক্রমণভাগ জ্বলে উঠল না সেভাবে। প্রথমার্ধ পার হলো কিছুটা ঢিমেতালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেট পিস থেকে পাওয়া গোলে ঠিকই এগিয়ে গেল ব্রাজিল। কিন্তু সেই গোল আগলে রাখতে পারল না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ দিকের গোলে ব্রাজিলের উৎসবের আয়োজন ভেস্তে দিল ভেনেজুয়েলা।
অ্যারেনা পান্তানালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে ব্রাজিল। গাব্রিয়েল ব্রাজিলকে এগিয়ে নেওয়ার পর এদুয়ার্দ বেলো ভেনেজুয়েলাকে সমতায় ফেরান।
শুক্রবার ভোরে নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে প্যারাগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টেবিলে শীর্ষে ওঠে আর্জেন্টিনা। ঘণ্টা দুয়েকের ব্যবধানে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারের পথেই ছুটছিল ব্রাজিল। কিন্তু হোঁচট খেয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা।
দ্বিতীয় মিনিটেই আক্রমণ শাণায় ব্রাজিল। নেইমারের পাস ধরে রিশার্লিসন ক্রস বাড়ান গোলমুখে। ভিনিসিউস জুনিয়র বলের নাগাল পাওয়ার আগেই ভেনেজুয়েলা ডিফেন্ডার ওসারিও ভেস্তে দেন আক্রমণ।
ব্রাজিলের এই শুরুর আগ্রাসনে ছেদও পড়ে দ্রুত। বলের নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হয়ে পড়েন নেইমার, রিশার্লিসনরা। চতুর্দশ মিনিটে নেইমারের উড়িয়ে নেওয়া শট, ১৯তম মিনিটে রদ্রিগোর গোলরক্ষক বরাবর শটে ছিল না ভীতি ছড়ানোর মতো কিছু।
৩৮তম মিনিটে কাসেমিরোর শট গোলরক্ষক রোমো ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান। এর একটু পর দানিলোকে তুলে ইয়ান কুতোকে নামান ব্রাজিল কোচ ফের্নান্দো জিনিস।
রক্ষণ আগলে রেখে খেলা ভেনেজুয়েলা প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পোস্টে প্রথম আক্রমণ করতে সক্ষম হয়। তবে দারউইন মাচিসের সরাসরি আসা শট সহজেই রুখে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণের গতি কিছুটা বাড়ে ব্রাজিলের। ৪৮তম মিনিটে পায়ের কারিকুরিতে জায়গা বের করে নেওয়ার পর নেইমারের শট ফিস্ট করে আটকান গোলরক্ষক।
দুই মিনিট পরই কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করে নেয় টানা দুই ম্যাচ জিতে আসা ব্রাজিল। নেইমারের কর্নার থেকে গতিময় হেডে জাল খুঁজে নেন গাব্রিয়েল।
৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ হারান নেইমার। কুতোর ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে এই ফরোয়ার্ড পা ছোঁয়ালে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। শট পোস্টে রাখতে পারলে নেইমারের হতাশা রূপ নিতে পারত গোলের আনন্দে।
চোট কাটিয়ে ফেরা ভিনিসিউস পারছিলেন না সহজাত গতিময় ফুটবল খেলতে। রিশার্লিসনও ছিলেন খোলস বন্দি, ৫৯তম মিনিটে তাকে তুলে গাব্রিয়েল জেসুসকে নামান ব্রাজিলের কোচ। এর পাঁচ মিনিট পর রদ্রিগোর শট পোস্টের ভেতরের কাণায় লেগে বাইরে যায়।
৭০তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস নেইমার বুক দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার পর জোরাল শটে বল জালে জড়ান ভিনিসিউস। কিন্তু অফসাইডের কারণে হয়নি গোল। নেইমার বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় তাকে দুই পাশ থেকে কড়া চার্জ করেছিলেন ভেনেজুয়েলার দুই ডিফেন্ডার; তা নিয়ে মাঠে চড়াও হয় দুই পক্ষ।
কোণঠাসা ভেনেজুয়েলা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বেলোর দুর্দান্ত গোলে। জেফারসন সাভারিনোর ক্রসে ওভারহেড কিকে লক্ষ্যভেদ করেন বেলো। পোস্টের নিচে এদেরসনের কিছুই করার ছিল না।
বাকিটা সময়ে নেইমাররা পারেনি গোলে করতে। তাতে চলতি বাছাইয়ে জয়ের ধারায় পড়ে ছেদ পড়ে ব্রাজিলের।
তিন ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ভেনেজুয়েলা
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে আসছেন রোনালদিনিও