রাজনীতি ডেস্ক।।
নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ভোটে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফ হিরো আলম। রোববার নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রার্থীদের আপিল আবেদনের ওপর যে শুনানি নির্বাচন কমিশনে চলছে, তাতে হিরো আলমের পক্ষে রায় দিয়েছে ইসি।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার প্রত্যয়ের কথা বলেছেন আলোচিত এই অনলাইন ক্রিয়েটর। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদের কথাও জানিয়েছেন তিনি। বিকাল সাড়ে ৩ টায় নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত ৬ নভেম্বর ইসিতে আপিল করেছিলেন হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, “আমার শুধু সই ছিল না। আমি জোর গলায় বলেছিলাম ইসি থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাব। শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। ইসিকে ধন্যবাদ। ডাব মার্কা প্রতীকে ভোট করব। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয়ী হবে আশা করি। আগে কোনো দলে যোগ দেইনি। এবারই বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হলাম।”
আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো ভোটে যাবেন না বলে আগে ঘোষণা দিলেও এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসার কারণও জানান হিরো আলম।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে হিরো আলম মাঠে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাকি অসুষ্ঠু হয় তা প্রমাণ করে দিতে পারি। এলাকার লোকজন চাইছে তাই ভোটে আছি।”
প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল কেন?
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখেন, হিরো আলম যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেননি। দলীয় প্রার্থী হলেও তিনি মনোনয়নপত্র পূরণ করেছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। রাজনৈতিক দলের ঘরে লিখেছেন ‘প্রযোজ্য নহে’। দলীয় মনোনয়নের মূল কপি তিনি জমা দেননি, ফটোকপি দিয়েছেন।
আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ভোটার তালিকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হয়, সেটাও দেননি হিরো আলম। হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয়-ব্যয় বিবরণী তিনি জমা দেননি। এছাড়া তার হলফনামা নোটারি করা থাকলেও সেখানে স্বাক্ষর করেননি। সব মিলিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত বুধবার আপিল করে হিরো আলম বলেন, “ছোটোখাটো ভুল হয়েছে এবার। আমি মনে করি কমিশন থেকে আমার মনোনয়ন ফেরত পাব।” নির্বাচনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখছেন- এই প্রশ্নে আলোচিত এই ইউটিউবার বলেন, “আমি সবসময় চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এবারও এর মধ্য দিয়ে যাব।”
হিরো আলম ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং এ বছরের শুরুতে বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন। সবশেষ তিনি অংশ নেন ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচনে। প্রতিবারই এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জটিলতার কারণ দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। প্রথম দুইবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। আর ঢাকার উপ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে যান। কিন্তু জয় মেলেনি কোনোবারই।
আরও পড়ুন: বিএনপির মানববন্ধন স্লোগানে ও লাখো মানুষে উত্তাল প্রেসক্লাব