৫৪
ফিচার ডেস্ক ।।
মশার উপদ্রব গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে এক বিশাল সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মশার উৎপাত থাকে তীব্র। মশার কামড়ে শুধু অস্বস্তি নয়, বরং ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও থাকে। তাই ঘর-বাড়িকে মশামুক্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ নিবন্ধে আমরা ঘরোয়া, রাসায়নিক এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করব। নিয়মিত কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ঘর পরিষ্কার রেখে মশার উৎপাত কমানো সম্ভব।
১. ঘরোয়া প্রতিকার:
- মশার কয়েল ও ধূপ: ঘরের কোণায় মশার কয়েল বা ধূপ জ্বালান। এটি মশা তাড়াতে সহায়ক।
- মশার ব্যাট: ইলেকট্রনিক মশার ব্যাট ব্যবহার করে মশা মারা যায়।
- লেবু ও লবঙ্গ: একটি লেবুকে কেটে লবঙ্গ গুঁজে রাখা। এটি মশার গন্ধ বিরোধী।
- পুদিনা পাতা: ঘরের কোণায় পুদিনা পাতার রস ছিটিয়ে দিলে মশা দূরে থাকে।
- তুলসী গাছ: ঘরের ভিতরে বা বাইরে তুলসী গাছ লাগানো। তুলসীর গন্ধ মশার সহ্য করতে পারে না।
২. রাসায়নিক প্রতিকার:
- মশার নিরোধক স্প্রে: বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মশার নিরোধক স্প্রে।
- মশার তেল: ল্যাভেন্ডার অয়েল, নিসিনের অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করে মশা তাড়ানো যায়।
৩. আধুনিক প্রযুক্তি:
- ইলেকট্রনিক মশা ধরার যন্ত্র: আলোর আকর্ষণে মশা ধরার জন্য ইলেকট্রনিক মশা ধরার যন্ত্র ব্যবহার করা যায়।
- মশার জাল: দরজা এবং জানালায় মশার জাল লাগানো। মশা ঢুকতে পারে না।
৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
- পানির জমা থেকে মুক্তি: ফুলের টব এবং পাত্রে জমা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা।
- বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা: বাড়ির আশেপাশে ঝোপ-ঝাড়, আবর্জনা জমতে দেবেন না।
৫. ব্যক্তিগত প্রতিকার:
- মশার তাড়ানোর ক্রিম: মশার তাড়ানোর ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা।
- পূর্ণাঙ্গ পোশাক পরা: সন্ধ্যার পর পুরো হাত এবং পা ঢাকা পোশাক পরানো।
এই প্রতিকারগুলি অনুসরণ করে আপনি মশার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যদি সমস্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তাহলে পেশাদার মশার নিধন সেবা গ্রহণ করতে পারেন।