১০৪
মহাকাশ ডেস্ক।।
কী কী করলে মহাকাশে নভোচারীদের একদম পৃথিবীর মতো করেই রাখা যাবে, সেই নিয়ে নাসার গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যস্ত। কিন্তু যে কোনও গবেষণার আগে মহাকাশচারীদের ঠিক কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা জানা প্রয়োজন।
মহাকাশে ভ্রমণ, ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হয় ততটা সহজ নয়। মহাকাশে যেতে হলে একজন নভোচারীকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। 50 বছরেরও বেশি সময় ধরে, NASA-এর হিউম্যান রিসার্চ প্রোগ্রাম (HRP) মহাকাশচারীদের শরীরে সেই স্থানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছে।
কী কী করলে মহাকাশে নভোচারীদের একদম পৃথিবীর মতো করেই রাখা যাবে, সেই নিয়ে নাসার গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যস্ত। কিন্তু যে কোনও গবেষণার আগে মহাকাশচারীদের ঠিক কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা জানা প্রয়োজন। আর এই গবেষণা শুরু করার উদ্দ্যেশ্য হল নাসার আসন্ন মিশনগুলি মানব ভিত্তিক।
আমেরিকান স্পেস এজেন্সি চাঁদ ও মঙ্গলে মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। দীর্ঘ দিনের এই স্পেসফ্লাইটে মানবদেহ কীভাবে প্রতিক্রিয়া করবে, তা জানা প্রয়োজন। নাসা তার ওয়েবসাইটে এই গবেষণা নিয়ে অনেক তথ্য দিয়েছে। আর সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, মহাকাশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন নভোচারীকে কোন কোন ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়।
নাসা মঙ্গল মিশনের জন্য আগে সেই সব ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। এই বিপদগুলির নাম দেওয়া হয়েছে “RIDGE”, যার অর্থ হল স্পেস রেডিয়েশন, আইসোলেশন এবং কনফাইনমেন্ট, পৃথিবী থেকে দূরত্ব, মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র এবং প্রতিকূল পরিবেশ। এই সব কিছুই নভোচারীদের কাছে বিপদের কারণ।
আরও পড়ুন: ‘ছোট্ট চাঁদের’ সন্ধান পেল নাসা