রাজধানী ডেস্ক।।
রাজধানীর মহাখালীতে ১৪ তলাবিশিষ্ট খাজা টাওয়ারে আগুন লাগায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট–সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, খাজা টাওয়ারে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টার রয়েছে। আগুন লাগার কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ইন্টারনেট–সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ আসত খাজা টাওয়ারের দুই ডেটা সেন্টার থেকে। এই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ৭০ শতাংশ দিয়ে থাকে। যেহেতু ডেটা সেন্টারগুলো বন্ধ হয়েছে, তাই ইন্টারনেট–সেবায় বিঘ্ন হচ্ছে।
এদিকে মুঠোফোন অপারেটর রবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারিগরি কারণে তাদের কিছু গ্রাহক রবি থেকে অন্য অপারেটরের নম্বরে বা অন্য অপারেটর থেকে রবিতে কল করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। দ্রুততম সময়ে এ সমস্যার সমাধানে তারা চেষ্টা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মহাখালীর আমতলী এলাকার খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। ভবনটির ১১, ১২ ও ১৩ তলা থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ১০ তলা থেকে ওপর পর্যন্ত ভবনের কাচের দেয়াল ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ করছেন। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সেখান থেকে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের ৭২ সদস্য কাজ করেছেন। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও তাঁদের সহযোগিতা করছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আমিনবাজার, সাভার ও কেরানীগঞ্জে যানবাহনে র্যাব-পুলিশের তল্লাশি