শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫

মহাসমাবেশ থেকে এক দিনের কর্মসূচি দেবে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো

এরই মধ্যে সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারির কারণে রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

by ঢাকাবার্তা ডেস্ক
মহাসমাবেশ থেকে এক দিনের কর্মসূচি দেবে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো

ঢাকাবার্তা ডেস্ক।।

সরকার পতন, নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠেয় শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। নতুন এই কর্মসূচির ধরন ও সময় নির্ধারণ হবে সমাবেশের চরিত্রের ওপর। রাজধানীর অন্তত ১২টি পয়েন্টে শনিবার মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে দলগুলো।

এরই মধ্যে সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারির কারণে রাজধানীজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে চলছে বিভিন্ন বাহিনীর ‘নিরাপত্তাজনিত’ তৎপরতাও।

বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর নেতারা বলছেন, শনিবারের সমাবেশ থেকে ঘেরাও বা অবরোধ ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। শুক্রবার (২৭) রাতেও এ বিষয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা পৃথকভাবে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এরপর চূড়ান্তভাবে ঘোষণার আগে আরও একবার নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নেবেন তারা।

মহাসমাবেশের দিন সবকিছু শান্তিপূর্ণ থাকলে এক দিন বিরতি দিয়ে কর্মসূচি আসবে এবং সেই কর্মসূচি দেওয়া হবে এককভাবে। যদি সমাবেশের চরিত্র পাল্টে যায় বা কোনও ইনসিডেন্ট ঘটে, সে ক্ষেত্রে সমাবেশের পরদিন (২৯ অক্টোবর) কর্মসূচি থাকতে পারে।

তবে শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত নেতারা জানান, সিঙ্গেল কর্মসূচি দেওয়া হবে। একেবারেই তা ঢাকাকেন্দ্রিক। পরবর্তী কর্মসূচি আসবে দেশভিত্তিক।

শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে একটি দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, এক দিন বিরতি দিয়ে ঢাকাসহ দেশব্যাপী কর্মসূচি আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে সচিবালয়ের পাশাপাশি দেশের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অভিমুখে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকার সারা ঢাকা শহরকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। শহরের প্রবেশমুখগুলোয় সর্বত্র তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। ফোন চেক করা হচ্ছে। যেভাবে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে পাকিস্তানি শাসনামলের কথা মনে হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষের ঢল নামবে সমাবেশে। মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানান দেবে।’  নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সাইফুল হকের ভাষ্য, কর্মসূচি আসবে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পুলিশের অনুমতির মধ্য দিয়ে মহাসমাবেশ নিয়ে যে উত্তাপ ছিল, তা অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। সে ক্ষেত্রে সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতারা কী বার্তা দেন এবং কী কর্মসূচি দেবেন, সেদিকেই সবার লক্ষ্য।

তবে সূত্রটির দাবি, ইতোমধ্যে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া এবং দলটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি পালনে অনড় অবস্থানের কারণে শনিবার সহিংসতার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণতন্ত্র মঞ্চের এক প্রভাবশালী নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামায়াত যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি পায়নি, এরপরও তারা সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে, সে ক্ষেত্রে তারা কী অবস্থান নেবে, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পুলিশ বাধা দেবে এবং তাদের সক্রিয়তার ওপর ক্যাজুয়ালটি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মহাসমাবেশের রাজনীতির ফোকাস তাদের ওপরে যাবে। এ বিষয়টি মঞ্চের পক্ষ থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে অবহিত করা হচ্ছে। তারা যেন বাস্তবসম্মত উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে।’

মঞ্চের নেতা সাইফুল হকের ভাষ্য, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ আয়োজনে বদ্ধপরিকর। সরকার উসকানি দিয়ে পরিস্থিতিতে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

 

আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতনের দাবির প্রতি মির্জা ফখরুলের সমর্থন

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net