সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ২৪৫/৯ (মাহমুদউল্লাহ ৪১*, মোস্তাফিজ ৪, তাসকিন ১৭, মুশফিকুর রহিম ৬৬, তাওহীদ হৃদয় ১৩, লিটন ০, তানজিদ হাসান ১৬, মেহেদী হাসান ৩০, নাজমুল হোসেন শান্ত ৭, সাকিব আল হাসান ৪০)
১৮০ রানে সাত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে একমাত্র প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ। দলের দুইশ রান হওয়া নিয়েই ছিল সংশয়। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ব্যাটে চড়ে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করলো বাংলাদেশ।
তাসকিন আহমেদের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর ৩৪ রানের জুটিতে স্কোর দুইশ ছাড়ায়। তারপর মোস্তাফিজুর রহমান বিদায় নিলে শেষ দুই ওভারে একটি করে ছক্কা মেরে স্কোর আড়াইশর ঘরে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু পারেননি। তবে তার শেষ দিকের ঝলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ হলো বাংলাদেশের। ৪৯ বলে দুটি করে চার-ছয়ে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
হেনরির শিকার মোস্তাফিজ
মোস্তাফিজুর রহমানকে ফিরিয়ে নবম উইকেট তুলে নিলো নিউজিল্যান্ড। ম্যাট হেনরির বলে টম ল্যাথামের ক্যাচ হন তিনি ৪ রান কের।
ছক্কা মারার পর তাসকিন প্যাভিলিয়নে
৪২তম ওভারের পঞ্চম বলে লকি ফার্গুসনকে চার মেরে বাংলাদেশের স্কোর দুইশতে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন আহমেদ তার সঙ্গে বড় জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন। ৪৪তম ওভারে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে বড় ছক্কা মারেন। তবে পরের ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ হন তাসকিন, ১৭ বলে করেন ১৭ রান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৪ রানের। ২১৪ রানে ৮ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
বোল্টের ২০০তম শিকার হৃদয়
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ৯৬ রানের জুটি ভাঙার পর ফের বিপদে বাংলাদেশ। ২৮ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারালো তারা। ম্যাট হেনরির বলে ৬৬ রানে থামেন মুশফিক। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে মিচেল স্যান্টনারের ক্যাচ বানিয়ে নিজের ২০০তম ওয়ানডে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮০ রানে সাত উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
৯৬ রানের দারুণ জুটি ভাঙলো সাকিবের বিদায়ে
৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। কঠিন চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ তার পর ঘুরে দাঁড়ায় অভিজ্ঞ সাকিব-মুশফিকের দারুণ জুটিতে। ৯৬ রান যোগ করেন তারা। মুশফিকের ফিফটির পর সাকিব আক্রমণাত্মক হয়ে রান তুলছিলেন। সেটাই কাল হয়েছে ২৯.৫ ওভারে। আগের বলে ছক্কা মারা সাকিব ফার্গুসনের এই বলটি পুল করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। ফেরার আগে ৫১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেছেন তিনি।
মুশফিকের ফিফটি
৪ উইকেট হারানোর পর চাপের মুহূর্তে প্রতিরোধ গড়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি। মুশফিক ফিফটি পেয়েছেন ৫২ বলে। টুর্নামেন্টে এটি তার ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি।
সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের একশ
৫৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ইনিংস মেরামতে ভূমিকা রাখেন সাকিব ও মুশফিক। তাদের জুটিতেই বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়িয়েছে।
শান্তর বিদায়ে আরও বিপদে বাংলাদেশ
মিরাজের আউটের পরের ওভারে বিপদ আরও বাড়ে নতুন নামা নাজমুল শান্ত ৭ রানে ফিরলে। অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপসের সাধারণ লেংথ বলে আগেভাগে ব্যাট চালিয়েছিলেন শান্ত। বল লিডিং এজ হলে মিড উইকেটে ডাইভ দিয়ে তার ক্যাচ নেন কনওয়ে।
টেলস ডেকেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে টসে জিতেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। ম্যাচের পরেরভাগে শিশিরের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সাকিব বলেছেন, টসে জিতলে তিনি কী নেবেন ঠিক নিশ্চিত ছিলেন না। তবে ব্যাটিং করতে আপত্তি করবেন না তিনি। বল ভালোভাবে ব্যাটে আসবে বলে ধারণা তাঁর।
দুই দলেই একটি করে পরিবর্তন
আগের ম্যাচে বেশ ভালো বোলিং করলেও মেহেদী হাসানকে আজ খেলাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাঁর জায়গায় দলে ফেরানো হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। অন্যদিকে দলে ফেরা অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে জায়গা করে দিয়েছেন উইল ইয়াং। মজার ব্যাপার হলো, ঠিক আগের ম্যাচেই ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইয়াং। উইলিয়ামসন ফেরায় আজ ওপেন করতে পারেন রাচিন রবীন্দ্র।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্ট।
আরও পড়ুনঃ ধোনির চেন্নাইয়ে পথ দেখাবেন সুজন-শ্রীরাম