রাজনীতি ডেস্ক।।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এর আগে মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
বুধবার বিকাল তিনটায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে মির্জা আব্বাসকে শাহজাহানপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুনানি চলাকালে বিচারকের অনুমতি নিয়ে মির্জা আব্বাস কথা বলতে চান। বিচারক অনুমতি দিলে তিনি বলেন, আমি কিছু কথা বলতে চাই। কখনোই কথা বলি না। আমার কোনও কথায় কিছু মনে করবেন না। আমি ছোট্ট একটা গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই। একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মানুষ জানতে চাইলো কী হয়েছিল সেখানে। তিনি উত্তরে বললেন, সেখানে আমার সাইডে লোহা দেখতে পাই। আমি ৫০ বছর রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন কোনও মামলা হয়েছে কিনা তা দেখিনি।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহান পুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলা ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০/৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩ টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত সেই পাপিয়ার জামিন, মুক্তিতে ‘বাধা নেই’