স্টাফ রিপোর্টার।।
গত কয়েকদিন ধরে মেহেরপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনের চেয়ে রাতে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ।
শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা সবার। এদিন কাজ না পেয়ে বেশিরভাগ কৃষিশ্রমিক বাড়ি ফিরে গেছেন। কাজ না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন দিনমজুররা। পাশাপাশি রিকশা, ইজিবাইক চালকরাও কষ্টের মধ্যে পার করেছেন দিন। শীতের কারণে মানুষজন রাস্তা বের না হওয়ায় আয়-রোজগার কমেছে তাদের। সকালে যাদবপুর মোড়ে বুড়িপোতা গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে আসা দিনমজুর লিয়াকত আলী বলেন, দুই দিন ধরে কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছি। আজকেও কাজের জন্য কেউ ডাকেনি। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে মাঠের কোনও কাজ পাচ্ছি না। এই শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। তবু পেটের দায়ে কাজে আসতে হচ্ছে।
জেলা শহরে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। সঙ্গে ঘন কুয়াশায় সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কমেছে। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে সাধারণ মানুষের চলাচল দেখা যায়নি। তবে শহরের খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও তা পর্যাপ্ত না। এখন পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
মৃদু এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক। তিনি বলেন, তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে বেশি কুয়াশা পড়ছে, দিনেও তা থাকছে। এজন্য মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শীতে কাঁপছে সারা দেশ, তাপমাত্রা নামলো ৮.৮ ডিগ্রিতে