খেলা ডেস্ক।।
গলফ কার্ট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা হয়নি। ফিরলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেন ডানহাতি ব্যাটার। খাদের কিনারায় দাঁড়ানো অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান এবার করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। তাতে অবিস্মরণীয় জয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
মুম্বাইয়ে আফগানিস্তান করেছিল ২৯১ রান। জিততে হলে এই মাঠে রানা তাড়া করার রেকর্ড গড়তে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। নাভিন উল হক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের গতির সঙ্গে রশিদ খানের স্পিনে চোখে সর্ষে ফুল দেখছিল অজিরা। ২০ ওভারের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের বিদায়।
নবম ওভারে পরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও জশ ইংলিসের বিদায়ে ক্রিজে নামেন ম্যাক্সওয়েল। আজমতের হ্যাটট্রিক বলে কোনোভাবে বেঁচে যান তিনি। আফগানরা এলবিডব্লিউর রিভিউয়ের আবেদন করেছিল। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল আউটসাইড এজ হয়ে আফগান কিপারের বেশ সামনে পড়ে। বল তার গ্লাভসে ধরা পড়লে আজমতের হ্যাটট্রিক হয়ে যেতো।
পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪ উইকেটে ৫২ রান। ম্যাক্সওয়েল ১৯তম ওভারের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে ফিরে যেতে দেখলেন। ৯১ রানের মধ্যে নেই সাত উইকেট!
ক্রিজে নামলেন প্যাট কামিন্স। একপ্রান্ত আগলে রেখে উইকেট ধরে রাখলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। আর অন্য দিক থেকে মুজিব উর রহমান, নুর আহমেদ ও মোহাম্মদ নবীর ওপর চড়াও হন ম্যাক্সওয়েল। ৩৩তম ওভারে ৭৬ বলে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন তিনি।
অষ্টম উইকেটে দুজনের জুটি একশতে পৌঁছায় ৮৯ বলে। ৩৫তম ওভারেই স্কোর দুইশ। ম্যাক্সওয়েল আরও খ্যাপাটে ডেথ ওভারে। ১০৪ বলে ১৭ চার ও ৫ ছয়ে ১৫০ করেন তিনি। তাদের জুটি ১৫০ এ পৌঁছায় ১৩৮ বলে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে সাকিবের জায়গায় সুযোগ পেলো বিজয়