স্টাফ রিপোর্টার।।
ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় স্মৃতির সঙ্গে শোকের রক্তঝরা দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। এদিন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ রঙিন হয়ে উঠছে শিল্পীর রঙতুলিতে। শহীদ মিনারের পাঁচটি স্তম্ভ এবং বেদী ধুয়েমুছে রঙ করা হয়েছে। আশেপাশের দেয়ালেও লেগেছে রঙ। এর ওপর আল্পনা করছেন শিল্পীরা। একইসঙ্গে লেখা হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান এবং কবিতার বিশেষ পঙক্তি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজনে যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত চারুকলা সংশ্লিষ্টরা। রঙতুলি দিয়ে কাজ করছিলেন চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী শুভ্রত পাল। তিনি বলেন, ‘আমি গত আট বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছর আমার অন্য কাজগুলো ফেলে রেখে আসি এই কাজ করতে। যাদের জন্য আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কাজে জড়িত থাকতে পেরে ভালো লাগে।’
মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ শহীদ মিনার এলাকার রাস্তায়ও আলপনা আঁকা হবে বলে জানান শিল্পীরা। আলপনা আঁকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সরকার বলেন, ‘দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছরই আলপনা আঁকা হয়। আমি সব সময়ই থাকার চেষ্টা করি। কাজটির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারা গর্বের।’
চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলিয়ে তিনশ’র মতো মানুষ শহীদ মিনার সাজানোর কাজে অংশ নিয়েছে। এখন দেয়াল চিত্রের কাজ শেষ। সেখানে ভাষা আন্দোলন-মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া শরীরিক শিক্ষা কেন্দ্রেও বেশ কিছু কাজ চলছে। আজ সকাল থেকে আলপনার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেয়। আশা করি, সব মিলিয়ে সন্ধ্যার আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।’
এ দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসকে ঘিরে কোনও ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সব আয়োজন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’