রাজশাহী প্রতিনিধি ।।
অনেক প্রতিক্ষা, প্রতিকূলতা এবং বাধা অতিক্রম করার পর আজ রাজশাহীর দায়রাজজ আদালতে বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, ছাত্রনেতা এমদাদুল হক লেমনসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও বিএনপি নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু, যিনি ১৯৮০ এবং ৯০-এর দশকে ঢাকার কিংবদন্তী ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন, ২০১৫ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর মৃত্যুকে তখন ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। পরিবার এবং দলীয় নেতারা দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা হয়েছেন।

নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু
পিন্টু ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, কারণ তিনি বিদ্রোহীদের পরিবহন সরবরাহে সাহায্য করেছিলেন বলে আদালত জানিয়েছিল। ২০১৫ সালের ৩ মে, পিন্টু কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে, পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু ফেসবুক পোস্টে জানান যে, তিনি পিন্টুর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সেই সাথে সহযোগিতার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। বিশেষভাবে, তিনি রাজশাহী জেলে যারা পিন্টুর সাথে ছিলেন তাদের কাছ থেকে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের আহ্বান জানান। রিন্টু বলেন, “আইনের বিষয়, তাই ল’ইয়ারের পরামর্শ সাপেক্ষে আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। ইতোমধ্যে অনেকটা অগ্রসর হয়েছি।”