মোত্তাকিন মুন।।
আজ ১৬ ডিসেম্বর(শনিবার) বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের দিন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ কর্তৃক সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের মোড়ানো কাপড় খুলে ফেলে। আজ বিকেলে দপ্তর সম্পাদক শাওন বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি দেয় ছাত্রলীগ।
সংগঠনের সভাপতি দীপক শীল ও সাধারণ সম্পাদক মাহি শাহরিয়ার রেজাযৌথ বিবৃতিতে বলেন “গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্তাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যকে ছাত্রলীগ কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়। মূলত আগের দিন সন্ধ্যায় বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের উদ্যোগে জোটভুক্ত সংগঠনগুলো পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চারজনকে হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল করে। মিছিল শেষে সমাবেশ করতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছাত্র ইউনিয়নের ওপর সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে রাজু ভাস্কর্যকে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় এবং ছাত্র ইউনিয়নকে দেখে নেয়ারও হুশিয়ারি দেয়” বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় ‘আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের দিনে রাজু ভাস্কর্যের কালো কাপড় খুলে দিয়ে আমরা ঘোষণা করছি শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সন্ত্রাস-মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো’।
আরও বলা হয় ‘ছাত্রলীগ মূলত ছাত্র ইউনিয়নকে ভয় পায় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নাম মুছে দিতে চায়। শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঐ একই দেয়ালে শহীদ রাজুর প্রতিকৃতি এঁকে ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের জবাব দেয়া দেব।”
বিবৃতির শেষে বলা হয় “এর আগে সাভারস্থ কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদ ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিট ৭১ এর শহীদ স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে।”
মূলত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার অভিযোগ তুলে ‘সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য’ কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে ছাত্রলীগ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের স্থাপিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত মেট্রোরেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতি ভাঙচুরের পর রাতে ভাস্কর্যটি কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়৷
গত বুধবার দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কালো কাপড়ে রাজু ভাস্কর্য ঢেকে দেওয়ার পাশাপাশি গত রাতে ভাস্কর্যের কাঠামোর ওপর একটি ব্যানারও সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলো, তাঁদের সংগঠনের উদ্যোগেই এই কাজ করা হয়েছে। তবে ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ প্রতিবাদ হিসেবে এটা করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিএনপির বিজয় র্যালি