খেলা ডেস্ক।।
বিশ্বকাপে মাঠের পারফরম্যান্সটা এখন পর্যন্ত তেমন সুবিধার নয় বাংলাদেশের, তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। এর মধ্যে গতকাল মাঠের বাইরেও তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাস টিম হোটেল থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বের করে দিয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর গতকাল থেকেই সমালোচনার মুখে ছিলেন লিটন।
এরপর আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন লিটন। এবার বিসিবির পক্ষ থেকেও লিটনের এমন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। পুনেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ ঘটনায় দুঃখিত। পাশাপাশি ঘটনাটি দেশের জন্যও লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন খালেদ মাহমুদ। যদিও এটি লিটন ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি বলে মনে করেন তিনি।
লিটনের এমন আচরণে বিসিবি উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে মাহমুদ বলেছেন, ‘অবশ্যই বিসিবি বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমার ধারণা লিটন এরই মধ্যে তার ফেসবুকে পেজে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করেনি। হয়ত আপনাদের বের করে দেওয়ার কথাটাও সে বলেই নাই। সে হয়তো অস্বস্তি বোধ করছিল। আমি যেহেতু ছিলাম না, তাই সঠিক উত্তরটা দিতে পারব না। তবে ও যেটা বলেছে, সে অস্বস্তি বোধ করছিল। সেটাই সে নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়েছে। এখন নিরাপত্তারক্ষীরা আপনাদের কীভাবে জানিয়েছে, সেটা আমি জানি না।’
বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে রাখার কারণও এ সময় ব্যাখ্যা করে মাহমুদ, ‘এবার আমরা একটা দূরত্ব রেখেছি, শুধু ম্যাচের আগের দিন আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছি। আমরা চাই যে খেলোয়াড়েরা মানসিকভাবে একটু দূরে থাকুক, ক্রিকেটের সঙ্গে থাকুক। ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করুক। তারপরও আমরা দুঃখিত। আমরা সবাই ভেবেছি, লিটন এটা কীভাবে বলল! আমি আজ সকালেও লিটনের সঙ্গে কথা বলেছি। সে বলেছে, “আমি কোনোভাবেই কাউকে ছোট করতে চাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি অস্বস্তিবোধ করছিলাম বলেই বলেছি।”’
লিটনকে এ রূপে আগে কখনো দেখেননি বলেও জানিয়েছেন মাহমুদ, ‘বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় এর আগে কখনো এমনটা করেনি। লিটনকেও আমি কখনো উদ্ধত দেখিনি। এখন সে সময় কী হয়েছিল ওর, সেটা আমি জানি না। এখন আমি যেটা বলেছি, সেটা ওর সঙ্গে আমার যে কথা হয়েছে তার ভিত্তিতে বলেছি।’
অবশ্য লিটনের এমন আচরণের পেছনে তাঁর সাম্প্রতিক ব্যর্থতাও কারণ হিসেবে থাকতে পারে বলে মনে করেন মাহমুদ। বিসিবির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যেটা হয়, কোনো দল হারলে অনেক সময় নেগেটিভিটি কাজ করে। নিজেদের গুটিয়ে রাখতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি একসঙ্গে বাইরে গিয়ে ডিনার করার এবং সবকিছু করার। তবে দিন শেষে শারীরিক চাপের চেয়েও মানসিক চাপটা অনেক বেশি। রান করতে পারছে না সেটা সমস্যা তৈরি করছে। ওই সব কারণে কিছু হয়েছে কি না, জানি না। কিন্তু আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং বিসিবির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা চাই আপনারা বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে বাকি ৬ ম্যাচেও সমর্থন করবেন, যাতে ইনশা আল্লাহ আমরা ভালো করতে পারি।’ পুনেতে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১৯ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভারত।