খেলা ডেস্ক।।
চলতি বিপিএলে ‘বিগ থ্রি’ তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ফরচুন বরিশাল দল গঠন করেছে। সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সকে উড়িয়ে দিতে এই তিন ক্রিকেটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আজও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এই তিন ক্রিকেটারের প্রভাব ছিল। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৮৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল বরিশাল। কিন্তু ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের বোলারদের ওপর চড়াও হয় খুলনা। এনামুল হক বিজয় ও এভিন লুইস ঝড়ে ১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে খুলনা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তিন ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে বড় সংগ্রহ করেছিল বরিশাল। জবাবে খেলতে নেমে লুইস ও বিজয় মিরপুরের ২২ গজে ঝড় তোলেন। চলতি আসরের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে লুইস বিদায় নিলেও সমস্যা হয়নি খুলনার। ৫.৩ ওভারে দলীয় ৭৭ রানে আউট হন লুইস। ২২ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে আফিফকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় গড়েন ৫৯ বলে ৭৫ রানের জুটি। আফিফ ৩৬ বলে ৪১ রান করে আউট হন। ততক্ষণে জয়ের ভিত গড়ে নিয়েছে খুলনা। বাকি পথটুকু অধিনায়ক বিবজয় ও শাই হোপ অনায়াসেই পাড়ি দেন। দুইজনের ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটিতে ১২ বল হাতে রেখে ১৮৮ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে খুলনা। বিজয় ৪৪ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। হোপ ১০ বলে ৫ চারে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। বরিশালের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ইমরান ৩৫ রানে নেন দুটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল করে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান। যাতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। তার সঙ্গে তামিম ও মাহমুদউল্লাহ শক্ত জুটি গড়ে দলকে নেন ভালো অবস্থানে। চতুর্থ ওভারে ওশানে থমাসের বলে শাই হোপকে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম জাদরান (১১)। তামিমের সঙ্গে সৌম্য সরকার বড় জুটির পথে ছিলেন। কিন্তু ৪৬ রান যোগ করে তারা আলাদা হন। হাবিবুর রহমান সোহানের সরাসরি থ্রোতে ক্রিজ থেকে অনেক দূরে থাকতে রান আউট হন সৌম্য (১৭)।
এরপর তামিম ও মুশফিকের দারুণ বোঝাপড়ায় বড় স্কোরের ভিত গড়ে বরিশাল। ৩৩ বলে ৫ চারে ৪০ রান করে আউট হন তামিম। মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৭ রানের। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের জুটিও পঞ্চাশ ছাড়ায়। ১৯ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ২৭ রানের ক্যামিও ছিল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। দুজনের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ৫৪ রান যোগ করে। মুশফিক ৩২ বলে তিনটি করে চার ও ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ইনিংসের শেষ ওভারে ফাহিম আশরাফকে চতুর্থ ছক্কা মেরে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৩৯ বলে তার ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৫ চার।
খুলনার বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম ও ওশানে থমাস একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে হারিয়ে চট্টগ্রামের তিনে দুই