মোত্তাকিন মুন।।
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৩৫ অলআউট (লিয়ানাগে ১০১*; তাসকিন ৩/৪২)
বাংলাদেশ:
তিকশানার অফ স্টাম্পের বাইরের বল। মুশফিক ব্যাট সামনে নিলেন। আউটসাইড-এজে চার। ৪ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। সিরিজ জিতল ২-১ ব্যবধানে।
এর আগে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৩৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। মাহিশ ঠিকশানার সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৬০ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়েন লিয়ানাগে। ১০২ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন তাসকিন। দুটি পান মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ দিকে ক্র্যাম্প নিয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার। ফিল্ডিংয়ে এনামুলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন বদলি ফিল্ডার জাকের আলী অনিক। চার আটকাতে গিয়ে বিলবোর্ডের সঙ্গে সৌম্য সরকারের পায়ে আঘাত লাগে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে তাকে। এনামুলও চোট পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য মাঠের বাইরে যান।
ব্যাটিংয়ে আজকের দিনটি ছিলো তানজিদ তামিমের। করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। শ্রীলঙ্কার স্টার বোলার হাসারাঙ্গার ওপর চড়াও হয়েছিলেন। তবে তার ওভারেই শট খেলার পরই বুঝতে পেরেছিলেন, সামনে বিপদ। ৮১ বলে ৮৪ রান করে লং অনে ধরা পড়ে আউট হন তানজিদ। তখন ১৩০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকের সঙ্গী শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
নতুন স্পেলে বল করতে নেমে প্রথম ডেলিভারিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন সেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার ৪৮ রানের জুটি ভেঙে যায়। ৪০ বলে ৩ চারে ২৫ রান কের মিরাজ ক্যাচ দেন প্রমোদ মাদুশানকে। ১৭৮ রানে বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট। একই ওভারে হাসারাঙ্গাকে দুটি ছয় ও চার মেরে ওই ধাক্কা কাটিয়ে তোলেন রিশাদ হোসেন।
এরপরে চলে রিশাদ তান্ডব। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আরেকটু হলে দ্রুততম ফিফটির বিশ্ব রেকর্ডই ছুঁয়ে ফেলতেন। তা হয়নি, তবে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় তাঁর ১৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসেই জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৩৭ রানে। বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তুললো।
আরও পড়ুন: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সমান সুযোগ দুই দলেরই