ঢাকাবার্তা ডেস্ক।।
প্রকল্পে চুরি ধরার জন্য ড্রোন ব্যবহার করতে চাইলে অনুমতি লাগবে। ড্রোন ব্যবহারের এখনো অনুমতি মেলেনি। তাই এক বছর আগে ড্রোন কেনা হলেও তা প্রকল্প এলাকায় পুরোদস্তুর নজরদারির কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সে জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সব কর্মকর্তার জন্য ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি নেওয়া হবে। অনুমতির জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আইএমইডি ইতিমধ্যে আবেদন করেছে।
সম্প্রতি আইএমইডির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইএমএডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রশ্ন ওঠে, এই সংস্থার জন্য কেনা ড্রোন ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ আছে কি না। তখন জানানো হয়, আইএমইডি উচ্চ প্রযুক্তির যে ড্রোন কিনেছে বা ভবিষ্যতে কিনবে, তা ব্যবহার করতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আইএমইডির সব কর্মকর্তার নাম-পদবি উল্লেখ করে বেবিচকের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে। ইতিমধ্যে অবশ্য আবেদন করা হয়ে গেছে। আইএমইডি সূত্রমতে, কর্মকর্তাদের ড্রোন ব্যবহারে এখনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আইএমইডিকে তিনটি ড্রোনের নিবন্ধন দিয়েছে বেবিচক। শিগগিরই কর্মকর্তাদের ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি মিলবে বলে আশা প্রকাশ করছেন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, আইএমইডির মূল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ১১৪ জন কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের সবার জন্য ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি নেওয়া হবে। এক বছরের বেশি সময় আগে আইএমইডি প্রকল্প পরিদর্শন ও নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতা, প্রশিক্ষণের অভাবসহ নানা কারণে সংস্থাটির কর্মকর্তারা পুরোপুরি ড্রোন ব্যবহার করতে পারছেন না।
আইএমএইডি সূত্রমতে, ২০২২ সালের মে মাসে ডিজেআই ব্র্যান্ডের ফ্যান্টম ও মেভিক মডেলের তিনটি ড্রোন কিনেছে সংস্থাটি। প্রতিটি ড্রোনের দাম পড়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা।
পাঁচ কেজির বেশি ওজনের ড্রোন ওড়াতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমোদন লাগে। এমন উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করার পরিকল্পনাই করেছে আইএমইডি।
এ বিষয়ে সাবেক সচিব ও বড় অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আইএমইডির যেসব কর্মকর্তা ড্রোন চালাবেন, তাঁদের অনিয়ম-দুর্নীতি ধরার যে মানসিকতা, সেটির পরিবর্তন করা জরুরি। তাঁদের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে ড্রোন ব্যবহার করে লাভ হবে না। তিনি আরও বলেন, আকাশ থেকে প্রকল্প দেখতে হবে কেন? হেঁটে-চলে, কাগজপত্র ঘেঁটেই তো প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতি ধরা যায়।
আরও পড়ুনঃ সর্বজনীন পেনশনের ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ