সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৩৪.৪ ওভারে ১৫৮/৪, লক্ষ্য ১৫৭ (মুশফিকুর রহিম ২*, নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৯*; তানজিদ তামিম ৫, লিটন দাস ১৩, মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৭, সাকিব আল হাসান ১৪)
বিশ্বকাপে শান্তর প্রথম ফিফটি
মিরাজের আউটের পর প্রান্ত আগলে ছিলেন শান্ত। সাকিব নেমে বেশিক্ষণ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। তার আউটের পর পর তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি। শান্ত ফিফটি তুলে নিয়েছেন ৮০ বলে। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি।
জয়ের কাছে গিয়ে আউট সাকিব
জয়ের কাছে থেকেই মিরাজ আউট হয়েছিলেন। তার পর সাকিব নামলেও ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি। ১৪ রান করে ওমরজাইর বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। তখন দলের স্কোর ছিল ১৪৬।
মিরাজকে থামালেন নাভিন
২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর বাংলাদেশকে জয়ের পথে নিতে প্রতিরোধ গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিফটি তুলে দলকে জয়ের কাছেও পৌঁছে দেন তিনি। এর আগে শান্তকে নিয়ে মূল প্রতিরোধ গড়তে উপহার দেন ৯৭ রানের জুটি। ২৮.১ ওভারে এই জুটি ভাঙেন নাভিন। দারুণ এক ক্যাচে মিরাজকে ৫৭ রানে তালুবন্দি করিয়েছেন। অবশ্য এর আগে দু’বার ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়েছেন তিনি। মিরাজের ৭৩ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
২৫তম ওভারে রিভিউতে রক্ষা মিরাজের
২৫তম ওভারে মুজিবের বলে এলবিডাব্লিউ আবেদনে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। মিরাজ সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। দেখা গেছে বল তার ব্যাট স্পর্শ করে প্যাডে আঘাত করেছে।
মিরাজের ফিফটিতে স্কোর একশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের
মামুলী লক্ষ্যে ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। শুরুটা নড়বড়ে হলেও তার পর মিরাজ-শান্তর জুটিতেই ছুটতে থাকে লাল-সবুজ দল। ১৬তম ওভারে এই জুটি পূরণ করে পঞ্চাশ রান। ২৩তম ওভারে মিরাজ আবার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও বিশ্বকাপের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন।
আরও একটি ‘জীবন’ মিরাজের
১১.২ ওভারে আরও একটি জীবন পান মিরাজ। নাভিনের বলে বাতাসে বল উঠিয়েছিলেন তিনি। বাউন্ডারি লাইনে থাকা মুজিব এক হাতে বলের নাগাল পেলেও সেটি হাতে জমাতে পারেননি। তখন ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন মিরাজ।
ফজলহক ফারুকির প্রথম ওভারে চার মেরে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত রানের খাতা খুলেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান। মুজিব উর রহমানের করা পরের ওভারে লিটন দাসও চার মেরে রানের খাতা খোলেন। এই ওভারে দুটি চার মারেন লিটন।
অবিশ্বাস্য রান আউট
ফজলহক ফারুকির করা ৫ম ওভারের প্রথম বল কাভারে ঠেলে রান নেওয়ার জন্য সামনের পায়ে একটু ঝুঁকেছিলেন লিটন। রান নেওয়ার দিকে আগ্রহ ছিল না তাঁর। তবে অন্য প্রান্ত থেকে তানজিদ ততক্ষণে দৌড়ে উইকেটের মাঝে চলে এসেছিলেন, লিটনের কল না শুনেই। নজিবুল্লাহ জাদরানের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন তানজিদ। এ রানআউটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আয়েশি ভঙ্গিতে ক্রিজে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি, অথচ ডাইভ দিলে বেঁচে যেতে পারতেন সহজেই।