নির্বাচন ডেস্ক।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে মা-বাবাসহ মুরুব্বিদের কবর জিয়ারতের পর সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি সত্যপীরের মাজার জিয়ারত করেন।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ ইছাখালীতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। মন্ত্রী সাইকেল চালিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে মরিয়মনগর চৌমুহনীতে গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের প্রচারণা শেষ করেন।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা বেলুনের মতো টুস করে চুপসে গেছে। এখন শক্তিশালী ভিটামিন ট্যাবলেট দিয়েও বিএনপিকে দাঁড় করানো যাচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ, ৭ জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের মতো এই রাঙ্গুনিয়ায়ও হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ নিয়ে আমরা সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবো।’
‘নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা এখন গর্তের মধ্যে ঢুকেছে এবং বিএনপির রিজভী আহমেদও গর্তের ভেতর ঢুকেছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন ইঁদুরকে দৌড়ানো হয়, ইঁদুর তখন গর্তের মধ্যে ঢুকে। জনগণ বিএনপিকে ধাওয়া করেছে, জনগণের দৌড়ানি খেয়ে তারা গর্তের মধ্যে ঢুকেছে। আপনারা যারা ইঁদুর ধাওয়া করেছেন তারা জানেন, ইঁদুর গর্তের ভেতর ঢুকে চোখ মেলে মেলে তাকায়। এখন বিএনপির রিজভী আহমেদ গর্তের ভেতর থেকে চোখ মেলে তাকান আর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে গাড়িঘোড়া পোড়ানো। গাড়িঘোড়া পোড়ানো কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। যারা গাড়িঘোড়া পোড়ায় তাদের আমরা বর্জন করি, তাদের জনগণও বর্জন করেছে। সুতরাং, রাঙ্গুনিয়ার মাটিতেও তাদের কোনও স্থান নেই। রাঙ্গুনিয়ায় যারা ছিল তারাও গর্তের মধ্যে ঢুকেছে। আমরা কিন্তু বলিনি গর্তের মধ্যে ঢোকার জন্য, এরপরও জনরোষ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই তারা এখন গর্তে ঢুকেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হয়, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত মনে করেছিল, আমরা নির্বাচন করতে পারবো না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, জনগণের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেভাবে প্রতিবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনারা ভোট দিয়েছেন, এবারও দ্বিগুণ উৎসাহে মা-বোনদের সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।’
এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের প্রতি দাতা দেশগুলোর নজর রয়েছে: সিইসি