খেলা ডেস্ক।।
শুরুতেই পাকিস্তান বিপাকে পড়ে ১৬, ১৭ ও ১৮তম ওভারে অ্যাডাম মিলনে, বেন সিয়ার্স ও টিম সাউদির জোড়া আঘাতে। এর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মূলত বাবর আজম অধ্যায় থেকে বেরিয়ে নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় শান মাসুদের নেতৃত্বে তিন টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতেও তাদের শুরুটা ভালো হলো না। শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বে প্রথম কুড়ি ওভারের সিরিজ খেলতে নেমে পরাজয় সঙ্গী হলো। শেষ দিকের ব্যাটিং ধসে ৪৬ রানে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দারুণ জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে সেরা বোলিং করে প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁন কিউই পেসার টিম সাউদি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ড্যারিল মিচেলের ঝড়ো ইনিংসে নিউজিল্যান্ড রেকর্ড রান তোলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে যে কোনও দল হিসেবে সর্বোচ্চ ২২৬ রান করে ৮ উইকেটে। জবাবে পাকিস্তান ১৮ ওভারে ১৮০ রানে অলআউট হয়। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়েকে শূন্যতে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। ফিন অ্যালেন ও কেন উইলিয়ামসন ওই ধাক্কা জোরেশোরে লাগতে দেননি। পঞ্চম ওভার শেষ হওয়ার আগেই দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছোঁয়। আরেকটি উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে কিউইরা তোলে ৫৬ রান। তিনটি করে চার ও ছয়ে ২৭ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। অভিষিক্ত আব্বাস আফ্রিদি তাকে আউট করেন।
উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের জুটি জমে যায়। ৭৮ রান যোগ করেন দুজন মিলে। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা উইলিয়ামসন আর দুই বল খেলে ৫৭ রান করে আব্বাসের শিকার হন। মিচেল আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর বড় করতে ভূমিকা রাখেন। মাত্র ২৭ বল খেলে চারটি চার ও ছয়ে ইনিংস সেরা ৬১ রান করেন।
শেষ দিকে আব্বাস, হারিস রউফ ও শাহীনের তোপে ৩৭ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ফিলিপস ১১ বলে ১৯ ও সমান বল খেলে মার্ক চ্যাপম্যানের ২৬ রানে চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে কিউইরা। আব্বাস ও শাহীন সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার। হারিস পান দুটি উইকেট। লক্ষ্যে নেমে ছন্দে ছিল পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব ৮ বল খেলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ২৭ রান করেন। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তার সঙ্গে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩৩ রানে জটি ভেঙে যায়।
পুরোনো ওপেনিং জুটির সঙ্গী বাবর আজমের সঙ্গে রিজওয়ান রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন। ৬ ওভারে ৬৩ রান তোলে পাকিস্তান। রিজওয়ান দুটি করে চার-ছয়ে ২৫ রান করে থামেন। চারে নেমে ফখর জামান (১৫) সুবিধা করতে পারেননি। ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে বাবর দলের হাল ধরে রাখেন। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাবেক অধিনায়ক। ৪০ রানের জুটি ভেঙে যায় ইফতিখারের (২৪) বিদায়ে।
পাকিস্তান বিপাকে পড়ে ১৬, ১৭ ও ১৮তম ওভারে অ্যাডাম মিলনে, বেন সিয়ার্স ও টিম সাউদির জোড়া আঘাতে। উইকেট হারানোর মিছিলে এই দফায় যোগ দেন বাবর, ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৭ রান করেন তিনি। সাউদি ১৮তম ওভারে আব্বাসকে ফিরিয়ে দেড়শ উইকেটের ঘরে পৌঁছান। পরে হারিসকেও আউট করেন। ৪ উইকেটে ১৫৯ রান করা পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ১৮০ রানে। ২১ রানে তাদের শেষ ৬ উইকেট পড়ে যায়। ১৫১ উইকেট সাউদির নামের পাশে, বাংলাদেশের স্পিনার সাকিব আল হাসানের চেয়ে ১১ উইকেটে এগিয়ে তিনি।
সাউদি সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে। দুটি করে উইকেট পান মিলনে ও সিয়ার্স।
আরও পড়ুন: হাসারাঙ্গা ছয় মাস পর মাঠে ফিরে ৭ উইকেট নিলেন