রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেই কুপোকাত আফগানিস্তান

by ঢাকাবার্তা
আফগানিস্তান বনাম ভারত ম্যাচের একটি দৃশ্য

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

শক্তিধর নিউজিল্যান্ডকে গ্রুপ পর্বে বিদায় করে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে যে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছিল তারা, তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেলো না সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচে। ভারতকে ১৮১ রানে থামিয়ে ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল আফগানদের। কিন্তু সেটি করতে পারেনি তারা। জসপ্রীত বুমরা ও আর্শদীপ সিংহের বোলিংয়ে ১৩৪ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। শিরোপা খরা কাটানোর মিশন নিয়ে বিশ্বকাপে আসা ভারত ৪৭ রানের জয় দিয়ে সুপার এইট পর্ব শুরু করলো। শুরুতে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট, পরে বুমরার বল– তাতেই ক্ষত-বিক্ষত হতে হয় আফগানদের। হাফ সেঞ্চুরি করে দলের স্কোরকে ১৮০ ছাড়িয়ে নিতে ভূমিকা রাখা সূর্য হয়েছেন ম্যাচসেরা।

বৃহস্পতিবার সূর্যকুমার যাদবের হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত ৮ উইকেটে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। কিংসটাউনের উইকেটে লক্ষ্যটা একেবারে সহজ ছিল না। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারে দারুণ শুরু করেছিল আফগানিস্তান। ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিংহের ওই ওভারে ১৩ রান তুলেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু পরের ওভারে জসপ্রীত বুমরা বল হাতে নিতেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট খেলা আফগানরা। যখনই বড় জুটির দিকে এগিয়েছে আফগানিস্তান, তখনই ভারতীয় বোলাররা এসে প্রতিরোধ গড়েছেন।

২৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও গুলবাদিন নাইব মিলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। চতুর্থ উইকেটে এই দুজন মিলে ৩৮ বলে ৪৪ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু কুলদ্বীপ যাদব দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই তুলে নেন গুলবাদিনের উইকেট। ২১ বলে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। সঙ্গীকে হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৪ রান উঠতেই ফেরেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করা ওমরজাই। এই উইকেট যাওয়ার পরই মূলত আফগানদের পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ দিকে নাজিবউল্লাহ জাদরান (১৯), মোহাম্মদ নবী (১৪) ও নূর আহমেদের (১২) রানের ওপর ভর করে আফগানরা কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে ইনিংস।

ভারতের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং জসপ্রীত বুমরার। তার শিকার তিনটি উইকেট। ৪ ওভারের স্পেলে এক মেডেনসহ মাত্র ৭ রান খরচায় তিন উইকেট শিকার করেন বুমরা। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আর্শদীপও ৩৬ রানে শিকার করেন তিনটি উইকেট। এ ছাড়া কুলদীপ যাদব দুটি এবং অক্ষর ও জাদেজা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

 এর আগে কিংসটাউন ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। দলীয় ১১ রানে ফজল হক ফারুকীর শিকার হন অধিনায়ক রোহিত। ১৩ বলে ১ চারে ৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেখান থেকে ঋষভ পন্ত ও বিরাট কোহলি মিলে প্রতিরোধ গড়েন। আগের তিন ইনিংসে ৫ রান করা কোহলি আজ ভালোই শুরু করেছিলেন। কিন্তু লংঅফের ওপর দিয়ে ছক্কা হাকাতে গিয়ে রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকার হন, খেলেন ২৪ বলে ২৪ রানের ইনিংস। তার আগে অবশ্য সাজঘরে ফেরেন পন্ত। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রশিদ।

৬২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর সূর্যকুমার যাদব ও শিবাম দুবে দলের হাল ধরেন। কিন্তু বেশিক্ষণ এই জুটিকে রান করতে দেননি রশিদ। দলীয় ৯০ রানে দুবে ফেরেন রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ৭ বলে এক ছক্কায় ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর পঞ্চম উইকেটে সূর্যকুমার ও হার্দিক ৬০ রানের জুটি গড়েন। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সূর্যকুমারের বিস্ফোরক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ফজল হক ফারুকিকে খেলতে গিয়ে নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ভারতীয় এই ব্যাটার। মাত্র ২৮ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংসটি খেলেন তিনি। এক ওভার পরেই হার্দিক ২৪ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর রবীন্দ্র জাদেজার ৭ ও অক্ষর প্যাটেলের ১২ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে।

বল হাতে রশিদ ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফারুকি ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় শিকার করেন তিনটি উইকেট। এ ছাড়া নাভিন উল হক নেন একটি উইকেট।

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net