মানাম মায়মূন, কিংসটাউন ।।
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হারার পর তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের সঙ্গেও ৮ রানে হারে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে সঙ্গে শান্তবাহিনীর বিশ্বকাপ মিশনও শেষ হলো। দেশে ফেরা ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ রইলো না।
এই জয়ে ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে গেল আফগানিস্তান। দ্বিতীয় রাউন্ডে কোনো জয় ছাড়াই শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আফগানরা বাংলাদেশের সামনে ১১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল, যা ১২.১ বলে তাড়া করে জিততে পারলে সেমিতে যেতে পারতো বাংলাদেশ।
১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। উইকেটে এসেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাভিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ বলে ৫ রান।

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের একটি দৃশ্য
পরের বলেই সাকিব আল হাসানকেও ফিরিয়েছেন নাভিন।
তাওহিদ হৃদয় উইকেটে এসে শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রশিদের শিকার হওয়ার আগে ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।
মাহমুদউল্লাহ যখন উইকেটে আসেন তখনও বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ বাস্তব ছিল। ১৯ বলে যখন ৪৩ রান দরকার তখন দশম ওভারে ৫ বল ডট খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এতেই সেমির স্বপ্ন ম্লান হয় শান্তবাহিনীর। পরের ওভারে রশিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৯ বল খেলে ৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। পরের বলেই রিশাদ হোসেনকেও ফেরান রশিদ। এরপর ১৭ ওভার ৫ বলে গুটিয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস। আর অস্ট্রেলিয়াকে টপকে সেমিতে গিয়ে আফগানিস্তান গড়ে ইতিহাস।
শান্তবাহিনীর পক্ষে লিটন দাস ৪৯ বলে ৫৪ রান করেন এবং আফগানিস্তানের রহমতউল্লাহ গুবরাজ ৫৫ বলে করেন ৪৩।