রেশমী প্রামাণিক ।।
গুরুজনদের ভাষ্য, সুস্থ থাকতে শাকের বিকল্প নেই। সিজন চেঞ্জের সময় যেহেতু রোগ জ্বালা লেগেই থাকে তাই এই সময়ে শাকের প্রতি রয়েছে আলাদা রকমের আগ্রহ। জেনে নিন নানা শাকের নানান উপকারিতা।
সরিষা শাক : সরিষা তেলের মতো সরিষা শাকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। শীতকালে এই শাকের ফলনও বেশ ভালো হলেও বাংলাদেশে এখন প্রায় সারাবছরই কম-বেশী পাওয়া যায়। নিয়মিত এই শাক খেলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। এছাড়া এই শাক দেহে ভিটামিন ডি তৈরি করতেও সাহায্য করে।
পালং শাক : এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং আয়রন। আর তাই নিয়মিত পালং শাক খেলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে পালং শাক।
কলমি শাক : হজমের সমস্যা বেশি থাকলে এই শাক না খাওয়াই ভালো। তবে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এই শাক। কলমি শাক বেশি করে রসুন, পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন। এটি শরীরে জলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। খেতেও ভালো লাগে।
পুঁই শাক : প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে পুঁই শাকে। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া পুঁই শাকে রয়েছে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, খনিজ লোহা, ম্যাগনেশিয়ম ও জিংক। এসব উপাদান সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। হার্টের সমস্যা থাকলে এই শাক কিন্তু খাবেন না।
লাল শাক : রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় লাল শাক। অ্যানিমিয়া যাঁদের রয়েছে তাঁদের জন্য খুবই উপকারী লাল শাক। এছাড়া অ্যামিনো অ্যাসিড, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে লাল শাকে। এসব উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
গিমা শাক: জন্ডিস,জ্বর, লিভারের অসুখ, সর্দি-কফে উপকারে লাগে এই শাক। এই শাক স্বাদে একটু তেতো। খেলে মুখের অরুচি সারে। বেগুন আলু দিয়ে চচ্চড়ি, বেসন বা ডাল বাটা দিয়ে এই শাকের বড়া খেতে ভাল লাগে।
পাট শাক : পাট পাতার বড়া খেতে খুবই ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পাট শাক খুবই উপকারী। এছাড়াও পেটের রোগ, সর্দি, কাশি এসব সারায় পাটপাতা। আর সিজন চেঞ্জে খুবই উপকারী এই পাতা।
মুলা শাক : মুলার কচি পাতা বা কচি মুলার শাক লঘুপাক অর্থাত্ সহজে হজম হয়। তেলে বা ঘিয়ে ভেজে মুলার শাক খেলে বাতের ব্যথা সারে। কিন্তু ভাল করে সেদ্ধ না করে খেলে কফ ও পিত্তের সমস্যা বাড়ে।