মানাম মায়মূন, অ্যান্টিগা ।।
সুপার এইটে বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে হারের মাধ্যমে, বৃষ্টি আইনে অজিদের কাছে ২৮ রানে হেরে গেছে তারা। নর্থসাউন্ডে কয়েক দফা বৃষ্টি হানা দিয়েছে। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ১১.১ ওভারের সময় বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচটি পুনরায় শুরু করা যায়নি। তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে এগিয়ে ছিল।
১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার ঝড়ো ব্যাটিং করে শান্তবাহিনীর ওপর চড়াও হন। পাওয়ার প্লেতে তারা ৫৯ রান সংগ্রহ করেন। সপ্তম ওভারে প্রথমবার বৃষ্টি হানা দেয়, খেলা বন্ধ থাকে। খেলা পুনরায় শুরু হলে ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের উইকেট তুলে নিয়ে রিশাদ হোসেন কিছুটা মোমেন্টাম পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ৫ রানে জীবন পাওয়া ওয়ার্নার দ্রুত রান তুলে ম্যাচটি নিজেদের করে নেন। ওয়ার্নার ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন, তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। ম্যাক্সওয়েল ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। রিশাদ ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
৩৪ বলে ওয়ার্নারের ফিফটির পর আবার বৃষ্টি নামলে খেলা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। ডিএলএস পদ্ধতিতে তখন অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে এগিয়ে ছিল।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর রিশাদ হোসেন পরপর দুটি উইকেট তুলে নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। তিনি মিচেল মার্শকে এলবিডাব্লিউ করেন, মার্শ রিভিউ নিয়েও সফল হননি।
বৃষ্টির পর রিশাদের আঘাতে ট্রাভিস হেড আউট হন। ওপেনার হেড ২১ বলে ৩১ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়।
পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়া ৫৯ রান সংগ্রহ করে, এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ থাকে।
তানজিম সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে ৫ রানে ব্যাট করছিলেন ওয়ার্নার, তখন হৃদয় তার ক্যাচ মিস করেন।
বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪০ রান সংগ্রহ করে।
শুরুর ধাক্কা সামলে শান্ত-লিটন জুটি দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যায়। লিটন ১৬ রানে আউট হলে ৫৮ রানের জুটিটি ভাঙে। শান্ত ৪১ রানে আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস ছন্দ হারায়। মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী দ্রুত আউট হলে দল চাপের মধ্যে পড়ে। হৃদয় ২৮ বলে ৪০ রান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন।
প্যাট কামিন্স ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হন। অ্যাডাম জাম্পা ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। স্টার্ক, স্টয়নিস ও ম্যাক্সওয়েল একটি করে উইকেট নেন।
স্কোর বোর্ড:
বাংলাদেশ ১৪০/৮ (২০)
তাসকিন আহমেদ: ১৩*
তানজিম হাসান: ৪*
তানজিদ হাসান: ০
লিটন দাস: ১৬
রিশাদ হোসেন: ২
নাজমুল হোসেন শান্ত: ৪১
সাকিব আল হাসান: ৮
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: ২
মেহেদী হাসান: ০
তাওহীদ হৃদয়: ৪০
প্যাট কামিন্স: ২৯ রানে ৩ উইকেট
অ্যাডাম জাম্পা: ২৪ রানে ২ উইকেট
মিচেল স্টার্ক, মার্কস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল: ১টি করে উইকেট
অস্ট্রেলিয়া ১০০/২ (১১.২)
ডেভিড ওয়ার্নার: ৫৩* (৩৫ বলে, ৫টি চার, ৩টি ছয়)
ট্রাভিস হেড: ৩১ (২১ বলে, ৩টি চার, ২টি ছয়)
মিচেল মার্শ: ১
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল: ১৪* (৬ বলে, ১টি চার, ১টি ছয়)
রিশাদ হোসেন: ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট