ক্রিকেট ডেস্ক।।
ঠিক এই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে মিস করছিল শ্রীলঙ্কা। চোটের কারণে ছয় মাস মাঠের বাইরে থাকা এই স্পিনিং অলরাউন্ডার আজ মাঠে ফিরলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আর ফেরার ম্যাচেই ৩৫ বল হাত ঘুরিয়ে ১৯ রানে তুলে নিলেন ৭ উইকেট। হাসারাঙ্গার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তো বটেই, ওয়ানডে ইতিহাসেই এটি পঞ্চম সেরা বোলিং। হাসারাঙ্গার লেগ স্পিনে পথ হারিয়ে জিম্বাবুয়ে ২২.৫ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয়েছে। হাসারাঙ্গা শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে। এরপর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের দল থেকে ছিটকে পড়েন।
অক্টোবরে শুরু বিশ্বকাপের আগে–আগে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পুনর্বাসন পর্যায়ে আবারও চোটে পড়লে বিশ্বকাপও শেষ হয়ে যায় তাঁর। হাসারাঙ্গাবিহীন দুটি টুর্নামেন্টের প্রথমটিতে ফাইনালে উঠলেও পরেরটিতে দশ দলের মধ্যে নবম হয় শ্রীলঙ্কা। এ ক্ষেত্রে হাসারাঙ্গার অনুপস্থিতিকে অন্যতম কারণ মনে করেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অনেকে।

ছয় মাস পর মাঠে ফিরে ৭ উইকেট নিলেন হাসারাঙ্গা।। ঢাকাবার্তা।।
হাসারাঙ্গাবিহীন দুটি টুর্নামেন্টের প্রথমটিতে ফাইনালে উঠলেও পরেরটিতে দশ দলের মধ্যে নবম হয় শ্রীলঙ্কা। এ ক্ষেত্রে হাসারাঙ্গার অনুপস্থিতিকে অন্যতম কারণ মনে করেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অনেকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান তিন ওয়ানডের সিরিজ দিয়ে দলে ফেরেন হাসারাঙ্গা। যদিও প্রথম দুই ওয়ানডের একাদশে তাঁকে রাখা হয়নি। আজ কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে নেমেই জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন। টসে জেতা জিম্বাবুয়ে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে প্রথম আট ওভারে বিনা উইকেটে ৪১ রান তোলে। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে হাসারাঙ্গার স্পিন–ঘূর্ণির সামনে পড়ে ক্রেইগ আরভিনের দল।

ছয় মাস পর মাঠে ফিরে ৭ উইকেট নিলেন হাসারাঙ্গা।। ঢাকাবার্তা।।
হাসারাঙ্গার লেগ স্পিনের ফাঁদে পড়ে বিনা উইকেটে ৪৩ থেকে পরের পাঁচ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সব কটি নেন হাসারাঙ্গা। পরে তুলে নেন আরও ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৫.৫ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ১৯ রানে শিকার ৭ উইকেট।ওয়ানডেতে এর চেয়ে ভালো ফিগার আছে মাত্র চারটি। ২০০১ সালে কলম্বোর এসএসসিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার চামিন্ডা ভাস। এখন পর্যন্ত এটিই ওয়ানডেতে সেরা বোলিং।
এর পরের তিনটি স্থানে যথাক্রমে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির ১২ রানে ৭ উইকেট (২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে), অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রার ১৫ রানে ৭ উইকেট (২০০৩ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে) এবং আফগানিস্তানের রশিদ খানের ১৮ রানে ৭ উইকেট (২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে)।