মোত্তাকিন মুন, ঢাকা:
মডেল, অভিনেত্রী , টেলিভিশন স্পোর্টস এঙ্কর ও আইনজীবী—অনেক পরিচয়েই চেনানো যায় পিয়া জান্নাতুলকে। ছিলেন মিস বাংলাদেশ। সম্প্রতি হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদের পেছনে দাড়িয়ে তার হাসির একটি ভিডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। আর রাতারাতি সোশ্য়াল মিডিয়াতে ভাইরাল ভিডিওর জন্য হয়ে যান জাতীয় ক্রাশ। গতকাল (শনিবার) হঠাৎ করে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভিডিও ক্লিপটির জন্য ট্রেন্ডিংয়ে উঠে আসে পিয়া জান্নাতুল। সেই ভিডিওতে তার হাসিতে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজনরা। কিন্তু নেটিজেনদের অতি উচ্ছ্বাসে পিয়া কি মুগ্ধ হয়েছে??
ভাইরাল ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি সংবাদের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখছেন ব্যারিস্টার সুমন। আর সে সময় সুমনের কথা শুনে পিয়া খানিকটা মুচকি হেসে ওঠেন। এরপর তার হাসিতে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে পিয়ার ওই ভিডিও বসিয়ে দিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে। তরুণেরা বিভিন্ন ভিডিওর কমেন্টবক্সে বলছে ‘পরীর সঙ্গে তুলনা চলেনা কারো”। কেউ সেই হাসির জন্য তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’ এর খেতাবও দিয়েছে।
ভিডিওটি দেখে অনেক তরুণ পিয়াকে ঘিরে তাদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। তার হাসির প্রশংসায় মেতেছিলেন তরুণেরা।
নেট দুনিয়ায় পিয়াকে নিয়ে তোলপাড় চললেও শান্ত আছেন তিনি। ট্রেন্ডের সঙ্গে ভাসাচ্ছেন না নিজেকে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে পিয়া বলেন, আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ, আমি বুঝি, যারা দুই সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে এক সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।
এ প্রসঙ্গে পিয়া বলেন, আমি দেখেছি, এটা বুঝতে পেরেছি যারা কনটেন্ট বা রিলস তৈরি করছেন বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। তাদের কোনো দোষ নেই। তাদের আসলে জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে। আসলে এগুলো ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে, যখন যে ট্রেন্ড আসে, সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।
বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনে পরিচিত নাম পিয়া জান্নাতুল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পিয়া জান্নাতুল ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন।
এছাড়াও মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেন পিয়া। ২০১২ সালে ”চোরাবালি’র মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক। ২০১৩ সালে বাহরাইনে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্সেস’ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ‘শ্যামা কাব্য’