নির্বাচন ডেস্ক।।
মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ ১৫ বছরে লাফিয়ে বেড়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাজাহান খানের সম্পদ (স্থাবর-অস্থাবর) বেড়েছে ৭২ গুণের বেশি। একই সময়ে তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৭৭ গুণের বেশি।
২০০৮ ও ২০২৩ সালে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শাজাহান খানের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৮ সালে মাদারীপুর-২ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন শাজাহান খান। একই আসন থেকে তিনি পরের প্রতি নির্বাচনেই প্রার্থী হন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
১৫ বছর আগে জমা দেওয়া হলফনামায় শাজাহান খানের বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ, তাঁর বার্ষিক আয় এই সময়ে ৩১ দশমিক ৬৯ গুণ বেড়েছে।
শাজাহান খান নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় কিছুটা কমেছে। শাজাহান খান ২০০৮ সালে একটি জিপ গাড়ি ব্যবহার করতেন। এখন তিনি দুটি গাড়ি ব্যবহার করেন, যার মোট মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
এবারের হলফনামায় শাজাহান খান তাঁর ব্যবহৃত ইলেকট্রনিকসামগ্রী হিসেবে ২টি টিভি, ২০টি ফ্যান, ৪টি এসি, ৪টি ফ্রিজ, ২টি আয়রন, ২টি ওয়াশিং মেশিন ও ২টি ওভেন দেখিয়েছেন। যার মোট মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া শাজাহান খানের আসবাবপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। তাঁর ১টি বন্দুক ও ১টি পিস্তল রয়েছে। যার মোট মূল্য ৩ লাখ ২ হাজার টাকা।
১৫ বছরে শাজাহান খানের স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৭৭ দশমিক ৬৩ গুণ। ১৫ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংকে দেখানো হয়েছিল ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৭৯ টাকা। পরিবহন হিসেবে দেখানো হয়েছিল ২টি বাস, ১টি কার ও একটি মাইক্রোবাস। যার মোট মূল্য ছিল ৪০ লাখ টাকা। স্বর্ণালংকার ছিল ১৫ ভরি (বৈবাহিক সূত্রে), যার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে এসে তাঁর অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে শুধু ৮০ তোলা স্বর্ণ, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে মির্জা আজমের সম্পদ বেড়েছে ১২২ গুণ