স্টাফ রিপোর্টার ।।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা উপার্জনের এক অভিযোগ দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানিয়েছেন।
দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, “২০১৩ সালে শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব হওয়ার পর থেকে পদ বাণিজ্য, স্বর্ণ ও মুদ্রা চোরাচালানের সিন্ডিকেট, ম্যাক্স গ্রুপ ও নগদের মত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা উপার্জন করে নিজ নামের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নামেও অবৈধ সম্পদ গড়েন।”
একটি গোয়েন্দা সংস্থার পেপার্স থেকে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ সালে সরকারের প্রাথমিক স্কুলের ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর প্রকল্প থেকে এক বন্ধু তারেক শমীকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫০ কোটি টাকা হাতিয়েছেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তার অঢেল অবৈধ সম্পদ রয়েছে। সংস্থাটি নির্দিষ্টভাবে ৪২ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন। রবিশঙ্কর মৈত্রীর কাছ থেকে গানবাংলা চ্যানেল দখলে তাপসকে সহযোগিতা করেছিলেন খোকন। তাপসের পতিতাব্যবসাতেও সহায়তা করতেন খোকন। পতিতারা বিমানবন্দরে আটকে গেলে খালাসও করতেন তিনি।

তাপস-খোকনের সেলফি
আশরাফুল আলম খোকন ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব পদে চুক্তিতে যোগ দেন। পরে বিভিন্ন সময় তার মেয়াদ ও গ্রেড বাড়ানো হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার করা অব্যাহতির আবেদন গ্রহণ করে তাকে ছুটিতে পাঠানোর খবর পাওয়া যায়।
আশরাফুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি দীর্ঘদিন চ্যানেল আইয়ে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০০৪ সালের একুশ অগাস্টে শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহতও হয়েছিলেন তিনি।
ক্যাম্পাস জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খোকন।