বিদেশ ডেস্ক।।
বেন অ্যান্ড জেরিস ও ম্যাগনামের মতো ব্র্যান্ডসহ আইসক্রিম ব্যবসাকে আলাদা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইউনিলিভার। একই সঙ্গে কমিয়ে আনা হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ কর্মী। কোম্পানির নতুন সিইও হাইন শুমাখারের পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।সম্ভাব্য বিকল্পগুলো বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিলিভার। এ অনুসারে, আইসক্রিম বিভাগ আলাদা করার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে।
২০২৩ সালে ইউনিলিভার ৫ হাজার ৯৬০ কোটি ইউরোর পণ্য বিক্রি করে। এর মধ্যে আইসক্রিম বিভাগের আয় ছিল ৭৯০ কোটি ইউরো। অর্থাৎ, মোট আয়ের প্রায় ১৩ শতাংশ আইসক্রিম বিভাগ থেকে এসেছে। ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিগগিরই পুনর্গঠন শুরু হবে ও ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ইউনিলিভার বলছে, চাকরির ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে মূলত অফিস-ভিত্তিক কর্মীরা প্রভাবিত হবেন। আগামী তিন বছরে ৮০ কোটি ইউরো সাশ্রয়ের পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। সে পরিকল্পনার একটি অংশ এ ছাঁটাই। এছাড়া পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহ চারটি ব্যবসার ওপর মনোযোগ দেবে ইউনিলিভার।
এর আগে ইউনিলিভারের প্রতিদ্বন্দ্বী নেসলে প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম পিএআই পার্টনার্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আইসক্রিম ব্যবসা আলাদা করেছিল। বিশ্লেষকদের মতে, খরচ কমানোর এ উদ্যোগ সফল হলে গবেষণা, উন্নয়ন ও বিপণনে পুনরায় বিনিয়োগ করতে সক্ষম হবে ইউনিলিভার।
২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে ইউনিলিভারের আয় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ওই সময় পণ্য বিক্রি বাড়ে। গত অক্টোবরে দুগ্ধজাত পণ্য সংস্থা রয়্যাল ফ্রাইজল্যান্ডক্যাম্পিনা থেকে ইউনিলিভারে যোগ দেন হাইন শুমাখার। ইউনিলিভারের প্রবৃদ্ধিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। এর অন্যতম হলো শীর্ষ ৩০টি ব্র্যান্ডের ওপর বিনিয়োগে নতুন মনোযোগ। কারণ এ ব্র্যান্ডগুলো ইউনিলিভারের আয়ের তিন-চতুর্থাংশের উৎস।