মোত্তাকিন মুন।।
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির পর তিন দিন ধরে গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে এই প্রথম একদিনে এত বেসামরিক মানুষ নিহত হলো।

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েল।। ঢাকাবার্তা।।
ইসরায়েলের এই নির্বিচার হামলা মূলত দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পার্শ্ববর্তী কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ঘিরে। যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে সেখানকার বাসিন্দাদের লিফলেট দিয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলো ইসরায়েল।
উল্লেখ্য এই অঞ্চল জুড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত বেশ কিছু শরণার্থী শিবিরও রয়েছে। ইসরায়েলের হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েল।। ঢাকাবার্তা।।
এদিকে দখল করা ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের কালকিলিয়া শহরে অভিযান চালিয়ে ২১ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের প্রিজনারস সোসাইটি জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে গতকাল শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় তারা অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবী জানালো কাতার
কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান তার দেশ এবার ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবী করছে। প্রধানমন্ত্রী জাসিম আল থানি আলজাজিরাকে আরও বলেন, এই তদন্তের পাশাপাশি কাতার এখনো আরেকটি যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবী জানালো কাতার।। ঢাকাবার্তা।।
শুক্রুবারে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। ৪০ জন জিম্মি নাগরিক এবং ২৪০ জন ফিলিস্তিনের বিনিময় শেষে। হামাস ও ইসরায়েল উভয়েই দুই পক্ষকে দায়ী করে বোমাবর্ষণ শুরু করে। শনিবার কাতার থেকে মোসাদের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আসা একটি দলকে ইসরায়েল ফিরিয়ে নেবার পরেই কাতার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবী জানায়।
তেল আবীবে ইসরায়েলের গাজায় হামলার প্রতিবাদে এবং বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরাইলীদের বিক্ষোভ
যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় ইসরায়েলি বোমা হামলার বিরুদ্ধে তেল আবিবে প্রতিবাদ করেছেন প্রায় অর্ধশতাধিক ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী। অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধে এবং হামাসের হাতে বন্দি সব জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে নিয়মিত সাপ্তাহিক সমাবেশের পর প্রতিবাদ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠকের দাবিও জানান তারা।

তেল আবীবে ইসরায়েলের গাজায় হামলার প্রতিবাদে এবং বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরাইলীদের বিক্ষোভ
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কিরিয়া সামরিক ঘাঁটির চারপাশে মিছিল করেন এই প্রতিবাদী জনতা। তখন তারা বলেন, এখনও ১৩০ জন জিম্মি মুক্তি না পাওয়ার জন্য ইসরায়েলই দায়ী।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর ত্রাণের প্রথম বহর ঢুকলো গাজায়