খেলা ডেস্ক।।
বৃষ্টি শঙ্কা মাথায় নিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। যথা সময়েই হয়েছে টস। প্রোটিয়ারা শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টুর্নামেন্টে ভারতের পর দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা কখনও ফাইনাল খেলেনি। চারবার সেমিফাইনাল খেললেও ব্যর্থতা সঙ্গী করে মাঠ ছেড়েছে। এবার অবশ্য ভাগ্য বদলানোর আশায় তারা।

নকআউটের ম্যাচের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। আজ কোনও কারণে ম্যাচ পুরোপুরি না হলে রিজার্ভ ডে হিসেবে শুক্রবারে ম্যাচ গড়াবে। সেদিনও ম্যাচের ফল না আসলে তখন গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট টেবিলে সর্বোচ্চ স্থানে থাকা দল ফাইনালে চলে যাবে। সেটি হলে প্রথমবার শিরোপা মঞ্চে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ গ্রুপ পর্বে তারা দুইয়ে থেকে শেষ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ছিল তিন।
অস্ট্রেলিয়াকে ২১৩ রানের টার্গেট দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেন ডেভিড মিলার। এছাড়া হেইনরিখ ক্লাসেন ৪৭, জেরাল্ড কোটসিয়াহ ১৯ রান করেন এবং এইডেন মারক্রাম ও কাগিসো রাবাদা ১০ করে রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা।
অস্ট্রেলিয়ারমিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স ৩টি করে উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান জশ হ্যাজলউড এবং ট্রাভিস হেড।

সেঞ্চুরি করে ফিরলেন মিলার
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে একাই দাঁড়ালেন ডেভিড মিলার। ছয়ে নেমে হাঁকালেন সেঞ্চুরি। ১১৬ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রান নিয়ে প্যাট কামিন্সের শিকার হন মিলার। ৪৭.২ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকার।

১১৯ রানে ৬ উইকেট নেই প্রোটিয়াদের
২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন হেইনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। দুই ব্যাটার মিলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন। তবে ক্লাসেন ৪৭ রানে ফিরলে ভাঙে এই পার্টনারশিপ।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ফর ডান ডাসেন, এইডেন মারক্রাম, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, জেরাল্ড কোয়েটজে, কাগিসো রাবাদা ও তাবরাইজ শামসি।
আরও পড়ুন: কোহলি ও শ্রেয়াসের সেঞ্চুরির সাথে, শামির ৭ উইকেট, ফাইনালে ভারত