সৈয়দ হাসসান ।।
মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি অতিরিক্ত ইস্যু এবং অনুমোদনহীন পরিবেশকের মাধ্যমে ১,৭১১ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসক কর্তৃক ৪১ পরিবেশক, ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্ট এবং ৬৪৩ বিক্রয় কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তদন্তে এই আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। প্রশাসক নগদের শীর্ষ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তরের কাছে সুপারিশ করেছেন। তবে মামলা দায়ের নিয়ে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগদের উদ্বোধন করেন। শুরু থেকেই সরকারি ভাতা বিতরণের দায়িত্বসহ নানা সুযোগে প্রতিষ্ঠানটি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
গত আগস্টে প্রশাসক নিয়োগের পর নগদের দৈনিক লেনদেন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে নভেম্বর মাসে এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ডাক অধিদপ্তর এবং থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে ২০১৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, জমাকৃত টাকার সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও নগদ নিয়ম লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত ই-মানি ইস্যু করেছে।
নগদের আর্থিক জালিয়াতি দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল জালিয়াতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।