খেলা ডেস্ক।।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম দিনের খেলা: বাংলাদেশ- ৮৫ ওভারে ৩১০/৯ (শরিফুল ৮*, তাইজুল ১৩*, নাঈম ১৬, সোহান ২৯, মিরাজ ২০, মুশফিক ১২, জয় ৮৬, মুুমিনুল ৩৭, শান্ত ৩৭, জাকির ১২)
প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল আশা জাগানিয়া। কিন্তু শেষ সেশনে একের পর এক উইকেট হারায়। যদিও সেশনের হিসাবে চা বিরতির পরই এসেছে সর্বোচ্চ রান। প্রথম সেশনে ১০৪ রান করেছিল বাংলাদেশ, চা বিরতির আগে আরও ৮১ রান যোগ করে। এই দুই সেশনে দুটি করে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তারপর শেষ বিকালে নুরুল হাসান সোহান ও নাঈম হাসান ছোটখাটো ঝড় তোলেন। তাতে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১২৫ রান যোগ হয় তৃতীয় সেশনে। প্রথম দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৯ উইকেটে ৩১০ রান। ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। গ্লেন ফিলিপস চার উইকেট নিয়ে প্রথম দিনের সফল বোলার।

নাঈমকে ফেরালেন জেমিসন, বাংলাদেশের তিনশ
সিলেটে বল হাতে ঘূর্ণিজাদু দেখানো গ্লেন ফিলিপসকে আগের ওভারে টানা চার মেরেছিলেন নাঈম হাসান। তবে খেলতে পারলেন না কাইল জেমিসনকে। নিউজিল্যান্ড পেসারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেন তিনি। ২৭ বলে ৩ চারে ১৬ রানে থামেন নাঈম। ২৯০ রানে ৯ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। পরের দুই ওভারে তাইজুল ও শরিফুল চার মেরে স্কোর তিনশতে নেন।
ঝড়ো সূচনার পর ফিলিপসের চতুর্থ শিকার সোহান
মাঠে নেমে প্রথম ১০ বলেই চারটি চার মেরে ঝড়ো সূচনার ইঙ্গিত দেন নুরুল হাসান সোহান। যদিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। উইকেটকিপার ব্যাটার ক্যাচ দেন নিউজিল্যান্ডের কিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে। তাকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট নেন গ্লেন ফিলিপস। ২৮ বলে ৫ চারে ২৯ রান করেন সোহান।

অভিষেকে দীপুর ২৪ রান
স্পিনে দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্লেন ফিলিপস। নিজের তিন নম্বর উইকেট পেয়ে গেলেন। অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দীপুকে শর্ট মিডউইকেটে হেনরি নিকলসের ক্যাচ বানান। ৫৪ বলে ৩ চারে ২৪ রান করেন তিনি। ২৬১ রানে বাংলাদেশের সাত উইকেট নেই।
স্লিপে ক্যাচ দিলেন মিরাজ
মেহেদী হাসান মিরাজ হাল ধরতে পারেননি। ৩০ বলে ২০ রান করে স্লিপে ড্যারিল মিচেলকে ক্যাচ দেন তিনি। কাইল জেমিসন ছিলেন বোলিংয়ে। ২৩৩ রানে ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

হতাশ করলেন মুশফিক
শেষ সেশনে চার মেরে শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। একই ওভারে শাহাদাত হোসেন দীপু তার আন্তর্জাতিক রানের খাতা খোলেন বাউন্ডারি দিয়ে।
চা বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারে মুশফিকের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করেন এজাজ প্যাটেল। টিম সাউদি শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন। আম্পায়ার্স কলে রিভিউ হারায় সফরকারীরা।
৫৮তম ওভারে মুশফিক ২ রান নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর দুইশতে নেন। দুজনে দেখেশুনে এগোতে থাকেন। কিন্তু তাদের জুটি ২৬ রানের বেশি হয়নি। এজাজের বলে উইলিয়ামসনের ক্যাচ হন মুশফিক। ২২ বলে ১ চারে ১২ রান করেন তিনি। ২১০ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

জোড়া ধাক্কায় শেষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেশন
মুমিনুল হক ও মাহমুদুল হাসান জয়ের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে আসার পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৫ বলের মধ্যে ও চার রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরে গেলেন প্যাভিলিয়নে। প্রথম বাধা দেন গ্লেন ফিলিপস। এই নিউজিল্যান্ড স্পিনারের বল কাট করতে গিয়ে টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে ধরা পড়েন মুমিনুল। ৭৮ বলে চারটি চারে ৩৭ রান করে তিনি। দুজনের জুটি ছিল ১৭১ বলে ৮৮ রানের। পরের ওভারে ইশ সোধি ফেরান জয়কে। নিচু ক্যাচে তাকে ফেরান ড্যারিল মিচেল। ১৬৬ বলে ১১ চারে ৮৬ রান করেন এই ওপেনার। ১৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দীপু এক রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে চা বিরতিতে গেছেন। এই সেশনে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ৮১ রান।

জয় ও মুমিনুলের জুটিতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ
মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের জুটিতে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ১০৪ রানে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হয়েছিল। লাঞ্চের খানিকক্ষণ আগে বাঁধা এই জুটি এরই মধ্যে পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের স্কোরও দেড়শ অতিক্রম করেছে। ৯২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৬৭ রান তাদের।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার স্থগিতাদেশ তুলে নিচ্ছে আইসিসি