সোমবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫

যুদ্ধ শেষে গাজা সীমান্তে নিরাপদ অঞ্চল চায় ইসরায়েল

ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধের সর্বশেষ

by ঢাকাবার্তা ডেস্ক
যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ শুরু
মোত্তাকিন মুন।।

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরমূহুর্তেই  গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার এক সপ্তাহব্যাপী অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। এরপর ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স পরিচালিত বোমাবর্ষণে কয়েক ঘণ্টার হামলায় অন্তত ১৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৮৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এই সময় অন্তত আটটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমা আঘাত হেনেছে।  

গাজার চিকিৎসাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেছেন ভোরের দিকেই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্ব দিকের এলাকা ও রাফাহ এলাকা লক্ষ্য করে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু হয়।  । উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে হাজারো মানুষ এই দুটি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। মধ্য ও উত্তরের এলাকাতেও হামলা হয়েছে।

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, দক্ষিণাংশে বোমাবর্ষণের ফলে উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলের হামলা বিস্তৃত হতে পারে। এর আগে দক্ষিণাঞ্চলকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছিল। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের মুখপাত্র জেন্স লায়ের কে. বলেছেন, পৃথিবীর নরক ফিরেছে গাজায়।

 

ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ সরবরাহ করলো যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে জানা গেছে ইসরায়েলকে ৯০৭ কেজির ১০০ টি  BLU-09 বোমা সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের “অস্ত্রের ঢেউ” পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেয়া হয়েছে।  এই চালানেই আরো ১৫ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৭ হাজার ভারী আগ্নেয়াস্ত্র যান এসেছে।  

প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে ব্লিঙ্কেন বলেন ,এগুলো শুধু গাজা আক্রমণের সময় ইসরায়েলবাসীকে সুরক্ষা দেয়ার প্রয়োজনে সরবরাহ হয়েছে।  

আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছে আহবান  যুদ্ধের পরে গাজায় নিরাপদ অঞ্চল চায় ইসরায়েল 

 

মিসর এবং আরব অঞ্চলগুলো বলছে ইসরায়েল এবার গাজা সীমান্তের কিছু জায়গা নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে নিতে চায়। ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধ পরবর্তীতে গাজা থেকে কোনো হামলা যেন ইসরায়েলে সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা চায় ইসরায়েল। রয়টার্স সংবাদ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে এই প্রস্তাবটি  মিসর, জর্ডান, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবকে দেয়া হয়েছে।   

মিসরের নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে আরব রাষ্ট্রগুলো প্রস্তাবটির  বিরোধীতা করেছে।  

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশরার ভাষ্যমতে এটা আগেই থেকেই বুঝা যাচ্ছিলো আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান মিত্র দেশগুলো এমন কিছুই চাইবে। তারা তাদের বন্ধুর জন্য নিরাপদ অঞ্চল চায়। 

তারা যদি সীমান্তে একটি নিরাপদ অঞ্চল বানাতেই চায়, তাদের উচিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ঘনবসতীপূর্ণ অঞ্চল গাজাকে বাদ দেয়া। এবং ইসরায়েলের নিজেদের সীমান্তে নিরাপদ অঞ্চলটি বানানো।

 

আরও পড়ুন: ইসরায়েল নীতি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় বাইডেন

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net