স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ মনে করছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র ও আক্রমণ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান এ দাবি করেছেন।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের চেষ্টাকে ব্যর্থ করতে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র ও আক্রমণ শুরু হয়েছে।”
এ ছাড়া, তারা দাবি করেছেন যে, “এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশের শীর্ষ দুই সংবাদপত্র বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে এবং ঢাকাসহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য কোনো দলই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। নেতারা মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো কথা বললেও বাস্তবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংঘর্ষ বন্ধে কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন না।”
বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি ছাত্র-শিক্ষকদের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। বরং বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের মদদদাতা হিসেবে বিএনপি-জামায়াতপন্থি ছাত্র ও শিক্ষকরাই কাজ করছে।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ আরও জানায়, “জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশিরভাগ সদস্য বিএনপি-জামায়াত এবং আওয়ামী লীগপন্থি। ফলে, জুলাই গণহত্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তা ও তড়িঘড়ি নির্বাচন আদায়ের প্রচেষ্টার মধ্যে দলীয় অনুগত কর্মকর্তাদের নিস্পৃহতার যোগসাজশ রয়েছে।”
এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি দায়িত্বশীল নাগরিক ও রাজনীতিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। তারা বলছে, “বিরাজমান পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা না হলে দেশ আফ্রিকার লিবিয়ার মতো বিশৃঙ্খল ভূখণ্ডে পরিণত হবে। সংঘর্ষ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে নাগরিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা ও নির্দেশনা দিতে হবে।”