স্টাফ রিপোর্টার ।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টা পর্যন্ত দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাত ১২টার পর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেয়।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সায়েন্স ল্যাব ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের দিকে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যায় সাত কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী পাঁচ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে। পরে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো
১. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪-২৫ সেশন থেকে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল।
২. শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ।
৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় ভর্তি প্রক্রিয়া।
৪. ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার ব্যবস্থা।
৫. ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নতুন অ্যাকাউন্টে ফি জমা।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ তাঁদের অপমান করেছেন। অন্যদিকে অধ্যাপক মামুন আহমেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘তারা আমার সঙ্গে কথা বলতে এসেছিল। কিন্তু ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে ঢুকে পড়ে।’
পরে অধ্যাপক মামুন আহমেদ একটি ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের বিষয়ক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।