স্টাফ রিপোর্টার ।।
নতুন নিয়োগ পাওয়া জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন—ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের শীর্ষপদেও কীভাবে সরলতা ও মিতব্যয়িতা বজায় রাখা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঈদের ছুটির আগেই তিনি দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে একটি নোট পাঠিয়ে জানান, তিনি ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ কোনো গাড়ি ব্যবহার করবেন না। এছাড়া ব্যাংকের বোর্ডসভায় তার জন্য ‘সিংহাসনসদৃশ’ চেয়ার এবং শুধু তার জন্য লিফট সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।
পূর্ববর্তীদের মতো ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা গ্রহণ করতেও তিনি অনিচ্ছুক বলে জানান এবং কথামতোই কাজ করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর মতিঝিলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করেই আসেন তিনি—যদিও তার জন্য একটি বিলাসবহুল পাজেরো এসইউভি বরাদ্দ রয়েছে।
নিজ দপ্তরে পৌঁছাতে তিনি ১২তলায় ওঠেন অন্যদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে লিফটে চড়ে। অথচ ব্যাংক ভবনে সাধারণত চেয়ারম্যানদের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লিফট সংরক্ষিত রাখা হয়।
সে দিন কোনো আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন বা আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনাও ছিল না। ওইদিনই প্রথম বোর্ডসভায় অংশ নেন তিনি। সেখানে সবার মতো সাধারণ একটি চেয়ারে বসেন, বরাদ্দকৃত রাজকীয় চেয়ার ব্যবহার করেননি।
ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “প্রথম দেখায়ই মনে হয়েছে আমাদের একজন ভালো চেয়ারম্যান পেয়েছি। তিনি অন্যদের থেকে আলাদা।”
আবুল বারকাত আরও প্রস্তাব দেন, চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দকৃত অফিসিয়াল এসইউভি ব্যাংকের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হোক এবং তা যেন অর্থ মন্ত্রণালয় ফিরিয়ে না নেয়। কারণ অনেক সময় মন্ত্রণালয়গুলো অধীনস্থ সংস্থার ‘ব্যবহার না হওয়া’ যানবাহন ফিরিয়ে নেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মাস আগে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নতুন চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।