নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মিত ভবনগুলো নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সাড়ে তিন বছর ধরে খালি পড়ে আছে দুটি ১৫ তলা ভবন। আরও চারটির নির্মাণকাজ চলছে ধীরগতিতে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ধুলাবালির সমস্যা ও নাগরিক সুবিধার অভাবের কারণে ভবনগুলোতে কেউ থাকতে চাইছেন না।
আলীগঞ্জ খেলার মাঠে ২০১৬ সালে ৬টি ১৫ তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। মাঠ রক্ষায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৪০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুটি ভবনের কাজ ২০২০ সালে শেষ হয়।
ধুলাবালির কারণে এলাকাটি বসবাসের অনুপযোগী বলে স্থানীয়রা সতর্ক করলেও প্রকল্প চালু রাখা হয়। কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন, দুর্নীতির জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।
বাকি চারটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ হলেও দ্রুত হস্তান্তরের উদ্যোগ নেই। ২০১৯ সালে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ পাঁচবার বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
আলীগঞ্জে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় ভবনগুলোতে কেউ থাকতে চাইছেন না। ঢাকার মিরপুরেও সরকারি ভবন খালি পড়ে থাকার দৃষ্টান্ত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, ভবনগুলো পরে কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া হবে।
প্রকল্প এলাকায় থাকা ঐতিহ্যবাহী মাঠ ছোট হয়ে গেছে। মাঠসহ পুরো এলাকা সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা হয়েছে, যা মাঠটি স্থায়ীভাবে উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
আলীগঞ্জ আবাসন প্রকল্পে ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিক সুবিধার অভাব এবং স্থাপনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় মাঠ রক্ষার আন্দোলন উপেক্ষা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।