সৈয়দ হাসসান ।।
বাংলাদেশের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা আমার দেশ এবার নতুন নেতৃত্বের সাথে ফিরে আসছে। প্রায় ছয় বছরের বন্ধের পর, ২২ ডিসেম্বর থেকে বাজারে আবারও প্রকাশিত হবে পত্রিকাটি। এর আগে ২০১৩ সালে, রাজনৈতিক কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়, যখন আওয়ামী লীগের রোষাণলে পড়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হন এবং পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
নতুনভাবে পত্রিকার নেতৃত্বে থাকছেন— সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন জাহেদ চৌধুরী, উপ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, এবং সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম। এছাড়াও ফিচার ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কবি আবদুল হাই শিকদার এবং বার্তা সম্পাদক হিসেবে ইলিয়াস হোসেন দায়িত্বে থাকবেন। পত্রিকার স্পোর্টস এডিটর হিসেবে থাকছেন এম এম কায়সার এবং ফটো এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রফিকুর রহমান রেকু।
২০১৩ সালে পত্রিকার ওপর একদিকে ছিল আওয়ামী লীগের প্রচণ্ড চাপ, অন্যদিকে প্রকাশনা বন্ধ থাকার কারণে গণমাধ্যমের জগতে এটি একটি বড় ধাক্কা ছিল। তবে, নতুন করে পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এটি প্রকাশের মাধ্যমে নতুন স্বপ্ন দেখছে আমার দেশ।
পত্রিকাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটি শুধুমাত্র একটি সংবাদমাধ্যমের পুনরুজ্জীবন নয়, বরং গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই নতুন উদ্যোগ এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে আমার দেশ আবারও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনপির রাজনীতিক মোসাদ্দেক আলী ফালু ২০০৪ সালে আমার দেশ প্রতিষ্ঠা করেন। অল্প সময়েই পত্রিকাটি পাঠকনন্দিত হয়। শুরুর দিকে যারা পত্রিকার নেতৃত্বে ছিলেন— প্রকাশক হাসমত আলী, উপদেষ্টা সম্পাদক আতাউস সামাদ, সম্পাদক আমানুল্লাহ কবীর, নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদক রাশীদ উন নবী বাবু, সহযোগী সম্পাদক ও পাঠকমেলা পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন এবং প্রধান প্রতিবেদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। এক/এগারোর সময় পত্রিকার দায় ও দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাহমুদুর রহমান।
মাহমুদুর রহমানের হাতে আমার দেশ পৌঁছানোর পর পত্রিকাটি আরো বেশি রাজনৈতিক, স্বাধীনতা-সমর্থক এবং ক্ষমতাবিরোধী বার্তা প্রচার করতে থাকে। হাসিনার রোষাণলে পড়ে ২০১৩ সালে, আমার দেশ পত্রিকা সরকারীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে, মাহমুদুর রহমান এবং পত্রিকার সাংবাদিকদের অনেকে তখনও নিজেদের অবস্থান দৃঢ় রেখে স্বাধীনতার সাংবাদিকতার পক্ষে লড়াই চালিয়েছেন।