স্টাফ রিপোর্টার ।।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের সম্মুখীন করতে আমরা ভারতের কাছে নোট ভারবাল পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি এখন প্রক্রিয়াধীন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংস হত্যাকাণ্ড।
- গুম ও ক্রসফায়ারের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা।
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড।
- মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হতাহতের ঘটনা।
শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের কয়েকজন মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো বর্তমানে চলমান।

নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ছবিটি তুলেছেন টি নারায়ণ
প্রত্যর্পণ চুক্তি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই চুক্তির আওতায় কয়েকজন আসামিকে প্রত্যর্পণের নজির রয়েছে।
প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গুম, ক্রসফায়ার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে। বর্তমান সরকার এসব অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং এই অনুরোধ কীভাবে কার্যকর হবে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।