স্টাফ রিপোর্টার ।।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি জানিয়েছে, সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে। আজ শনিবার রাতে যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে এ দাবি লিখিতভাবে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যেকোনো অজুহাতে নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, জাতির কাছে স্বৈরাচার ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে। এর দায় বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্টদের ওপরই বর্তাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ তৈরি করা। এ জন্য আমরা একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করে আসছি।’
বিএনপির অভিযোগ, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলম সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করছেন। তাই তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আমরা লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি দেখবেন।’
বৈঠকে নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার—এই তিন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে, এবং খুব দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব বলে উভয় পক্ষ মত দিয়েছে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচনের ঘোষণার মধ্য দিয়েই দেশে শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আজকের বৈঠকে আমরা সে দাবি স্পষ্ট করেছি।’
বিএনপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল মঈন খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
বিএনপি জানিয়েছে, তারা কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেনি, বরং শুরু থেকেই এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে।