কুররাতুল আইন ।।
গরমের দিনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আখের রসের গ্লাস অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু এ পানীয় শুধু তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নয়, এর ভেতরে আছে নানান স্বাস্থ্যগুণ।
আখের রসের উপকারিতা
আখের রস শরীর ঠান্ডা রাখে এবং দ্রুত শক্তি যোগায়। এতে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ, আয়রন ও খনিজ শরীরকে চাঙ্গা করে। লিভারের সমস্যায়, বিশেষ করে জন্ডিসের সময় আখের রস উপকারী হিসেবে পরিচিত। পটাশিয়াম হজমে সাহায্য করে, এসিডিটি কমায় এবং রক্তের মান উন্নত করে। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এমনকি ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো প্রভাব ফেলে।
কারা খাবেন, কারা খাবেন না
আখের রস ক্লান্তি দূর করতে, অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন এমন মানুষ কিংবা খেলোয়াড়দের জন্য উপকারী। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি প্রচুর থাকে। আবার পেটের ইনফেকশন বা ডায়রিয়ায় ভুগছেন এমন কেউ কিংবা দাঁতের সমস্যায় আক্রান্তদের জন্যও এ পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।
কখন ও কতটা খাবেন
দুপুর বা বিকেলে আখের রস সবচেয়ে উপযোগী। খালি পেটে বেশি না খেয়ে, হালকা খাবারের পর খাওয়াই ভালো। রাতের দিকে আখের রস খাওয়া এড়িয়ে চলাই উত্তম। সাধারণত এক গ্লাস (২০০–২৫০ মিলি) যথেষ্ট, সপ্তাহে ২–৩ দিন খেলেই উপকার পাওয়া যায়।
অতিথি আপ্যায়নে আখের রস
অতিথিদের সামনে আখের রস পরিবেশন করতে চাইলে কাচের গ্লাসে ঠান্ডা করে দেওয়া সবচেয়ে আকর্ষণীয়। লেবুর রস, পুদিনা পাতা বা সামান্য আদা মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদ আনা যায়। নিরাপদ বরফ ব্যবহার করলে পানীয় আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সঙ্গে ফলকাট বা হালকা নাস্তা দিলে অতিথি আপ্যায়নে বাড়তি আনন্দ যোগ হয়।
আখের রস তাই শুধু রাস্তার পানীয় নয়, এটি হতে পারে ঘরোয়া স্বাস্থ্যকর বিকল্প এবং আতিথ্যের অনন্য আয়োজন।