সৈয়দ হাসসান ।।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমি ফর উইমেন অন্ট্রপ্রেনরস (এডব্লিউই) প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৮৩ জন নারী উদ্যোক্তার সাফল্য উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলডিন, পাবলিক এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর স্কট হার্টম্যান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ এবং রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড।
প্রধান আকর্ষণ ও পুরস্কার বিতরণ
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়িক ধারণার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য ৩০,০০০ মার্কিন ডলারের অনুদান ঘোষণা করা হয়, যা এই আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। একাডেমি ফর উইমেন অন্ট্রপ্রেনরস প্রোগ্রামের কোহর্ট ১ এবং কোহর্ট ২ থেকে নির্বাচিত ৬ জন বিজয়ী নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। পুরস্কার তুলে দেন প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ এবং মেগান বোলডিন।
বক্তৃতা ও প্রশংসা
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বোলডিন নারী উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পথ তৈরি করছেন এবং প্রমাণ করছেন যে নারীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এই প্রোগ্রাম কেবল উদ্যোক্তা উন্নয়ন নয়, বরং এটি অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক। যখন নারীরা সফল হয়, তখন তাদের পরিবার, সমাজ এবং অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়।”
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো আগামীর নেতৃত্ব তৈরি, উদ্ভাবনে সহায়তা এবং উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মেলা ও প্রদর্শনী
অনুষ্ঠানে আয়োজিত মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রয় করেন। এটি তাদের অর্জিত দক্ষতা প্রদর্শনের একটি সুযোগ তৈরি করে দেয়।
প্রোগ্রামের ভূমিকা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় পরিচালিত এই প্রোগ্রাম নারীদের ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়ন, মেন্টরশিপ প্রদান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে। এটি দেশের প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি উদ্ভাবন, নেতৃত্ব এবং অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের এই সাফল্যকে দেশের অর্থনীতিতে আরও প্রসারিত করার পথ তৈরি করেছে।