ডেস্ক রিপোর্ট ।।
এই ক্রিসমাস ইভে, যখন শিশুরা সান্তার স্লেহ দেখা নিয়ে উচ্ছ্বসিত থাকবে, নাসা সতর্ক করেছে আরও এক অপ্রত্যাশিত অতিথি নিয়ে—এক বিশাল গ্রহাণু ‘ক্রিসমাস ইভ অ্যাস্টেরয়েড’।
গ্রহাণুটি, যার নাম ২০২৪ XN1, পৃথিবীর কাছ দিয়ে ১৪,৭৪৩ মাইল/ঘণ্টা (২৩,৭০০ কিমি/ঘণ্টা) বেগে অতিক্রম করবে। ১০ তলা ভবনের সমান উচ্চতার এই গ্রহাণুর ব্যাস ২৯ থেকে ৭০ মিটার (৯৫ থেকে ২৩০ ফুট)।
নাসার অ্যাস্টেরয়েড ওয়াচ ড্যাশবোর্ড অনুযায়ী, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৪.৪৮ মিলিয়ন মাইল (৭.২১ মিলিয়ন কিমি) দূর দিয়ে অতিক্রম করবে। তবে এটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না বলে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন।
রয়্যাল গ্রিনউইচ অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেস লি জানান, “গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি দূরে থাকবে। এর গতিপথ অনুযায়ী, এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে না।”
তবে লি উল্লেখ করেন, এর আকার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে এ ধরনের মহাজাগতিক বস্তু কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। যদি ২০২৪ XN1 পৃথিবীতে আঘাত করত, তবে এর প্রভাব ১২ মিলিয়ন টন টিএনটির সমতুল্য হত এবং প্রায় ৭০০ বর্গমাইল (২,০০০ বর্গকিমি) এলাকা ধ্বংস করে দিত।
২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর অতিক্রমের পর গ্রহাণুটি আবার পৃথিবীর নিকটবর্তী হবে জানুয়ারি ২০৩২-এ। তবে তার সবচেয়ে কাছাকাছি আসার ঘটনা ঘটবে ২১০৬ সালের ডিসেম্বরে।
গ্রহাণুটি ছাড়াও ক্রিসমাসের সময়ে আরও কিছু মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে।
- ২৩ ডিসেম্বর: ছোট একটি গ্রহাণু, ২০১৩ YB, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে এটি একটি উজ্জ্বল আগুনের গোলা তৈরি করবে। এর পৃথিবীতে আঘাতের সম্ভাবনা প্রায় নেই।
- ২৫ ডিসেম্বর: আরেকটি বড় গ্রহাণু, ২০২১ BA2, পৃথিবীর ১.৭১ মিলিয়ন মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করবে।
এই ঘটনাগুলো মহাকাশে মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তুলবে এবং পৃথিবীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মহাজাগতিক পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব আবারও তুলে ধরবে।