স্টাফ রিপোর্টার ।।
দেশের প্রথম সিডিএমএ (Code Division Multiple Access) প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল (CityCell) আবারও কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী কলরেট—মাত্র ২৫ পয়সা প্রতি মিনিট—নিয়ে গ্রাহকদের কথা বলার সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সিটিসেলের হেড অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, তাদের লাইসেন্স বাতিলের পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছিল। ৮ বছর বন্ধ থাকার ফলে তারা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে এখন নতুন উদ্যমে বাজারে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিটিসেল।
সিটিসেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন লাইসেন্স প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের কার্যক্রমে ফাইভজি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন এবং আইনসম্মত উপায়ে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা করছেন।
এ উদ্যোগ সফল হলে, দেশীয় টেলিকম বাজারে প্রতিযোগিতার নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
সিটিসেল বন্ধের সময় বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ছিল ৪৭৭ কোটি টাকা। পরে ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল। সে হিসাবে সিটিসেলের বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু কোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দেখা যায়, সিটিসেলকে ১০ মেগা হার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ। সে হিসাবে সিটিসেলের কাছে সরকারের সবশেষ মোট বকেয়ার পরিমাণ ১২৮ কোটি টাকা।
গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (BTRC) চিঠি পাঠিয়ে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে। চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এ জন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে (Tarana Halim) দায়ী করেছেন তারা।