স্টাফ রিপোর্টার ।।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আবারও ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন অন্তত একজন শিক্ষার্থী। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিছু শিক্ষার্থীর হাতে লাঠি দেখা যায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। পরে তাঁরা সিটি কলেজের কাছে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি বেলা ১টা পর্যন্ত উত্তপ্ত ছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল একই জায়গায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সে দিন সকাল সাড়ে ১১টার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের একাধিক টিম মোতায়েন করা হয়।
ওই সংঘর্ষে ইটের আঘাতে মো. জাফরি (১৭) নামের এক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত জাফরির সঙ্গে আসা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন জানান, গতকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে। আজ সকালে ফের এমন ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ হয়।

উত্তপ্ত এলাকার দৃশ্য
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন সংঘর্ষ মাঝেমধ্যেই ঘটে। তুচ্ছ কারণেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আজকের ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকায় এখনো বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।