স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিদ্যমান সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’ সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। শনিবার বিকেলে প্রকাশিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই সুপারিশ জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধানে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে উল্লেখ করা ব্যক্তি বন্দনার সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করে এবং এটি স্বৈরতন্ত্রের পথ সুগম করতে পারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল সম্মিলিত নেতৃত্বের ফল, তাই একক ব্যক্তিকে এই উপাধিতে অভিহিত করা ঐতিহাসিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছে কমিশন।
সংবিধান সংস্কার কমিশন আরও উল্লেখ করেছে, ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফ্যাসিবাদের বীজ নিহিত ছিল এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভক্তি তৈরি করেছে। তাদের মতে, ধর্মনিরপেক্ষতা মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব কোনো সাংবিধানিক নথিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না, বরং এটি পরবর্তীতে সংবিধানে সংযোজন করা হয়।
কমিশন ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে এবং সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজনের সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রভাষা বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য মাতৃভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ এবং মেয়াদ চার বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ নেতা বা রাজনৈতিক দলের প্রধান না রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কমিশন আরও সুপারিশ করেছে, সংবিধানে মানবাধিকার সুরক্ষা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোক্তা অধিকার এবং ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকারের মতো বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
আপনার চাহিদা অনুযায়ী এটি আরও সংশোধন বা পরিমার্জন প্রয়োজন হলে জানান!