ডেস্ক রিপোর্ট ।।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনেই বেশ কিছু চমকপ্রদ নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনে আরও চমক আসতে পারে।
অভিবাসন ও জাতীয় নিরাপত্তা
ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এ ছাড়া, অভিবাসী বিতাড়ন কর্মসূচি চালু এবং কেন্দ্রীয় অভিবাসন নীতির কঠোর বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
মেক্সিকো নীতি ও সীমান্ত সুরক্ষা
‘রিমেইন ইন মেক্সিকো’ নীতি পুনরায় কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, টাইটেল ৪২ ব্যবহারের মাধ্যমে সীমান্ত বন্ধের পরিকল্পনা করছেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও মাদক চক্র
মাদক চক্রগুলোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে। মেক্সিকো সীমান্তে অসমাপ্ত প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্নেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অর্থনীতি ও শুল্কনীতি
ট্রাম্প আমদানি পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৬০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এটি মার্কিন অর্থনীতিকে মজবুত করার উদ্দেশ্যে হলেও মূল্যস্ফীতি বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
জলবায়ু ও পরিবেশনীতি
বাইডেনের নেওয়া পরিবেশবান্ধব নীতিগুলো বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন ট্রাম্প। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আবার সরে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গা ও ক্ষমা
ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় অভিযুক্ত ১,৫০০ সমর্থককে মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তিনি।
গোপন নথি প্রকাশ
১৯৬৩ সালের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, ১৯৬৮ সালের রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড-সম্পর্কিত গোপন নথি প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশনীতি
কিউবা ও ভেনেজুয়েলা সংক্রান্ত বাইডেনের সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করার উদ্যোগ নিতে পারেন ট্রাম্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি।
গর্ভপাত ও ট্রান্সজেন্ডার নীতি
গর্ভপাত সম্পর্কিত বিধিনিষেধ পুনর্বহাল এবং ট্রান্সজেন্ডার নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
টিকটক নিষেধাজ্ঞা
টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর আগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার প্রথম দিনের এসব সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে।